শিলাবতীর জল বেড়ে প্লাবিত ঘাটাল পুরসভার ৩টি ওয়ার্ড
এই সময় | ২৯ আগস্ট ২০২৪
পুজোর মুখে আবারও শিলাবতী নদীর জলস্তর বেড়ে প্লাবিত ঘাটাল পৌর এলাকার ৩টি ওয়ার্ড! নৌকো, ডিঙি করে চলছে যাতায়াত।
গত কয়েকদিন নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে শিলাবতী নদীর জলস্তর বাড়ে। তার ফলেই ঘাটাল পুরসভার ৫, ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বহু এলাকায় জল ঢুকেছে। ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে নৌকা বা ডিঙিতে। জল দ্রুত না নামলে পুজোর সময় দুর্ভোগ বাড়ার আশঙ্কা বাসিন্দাদের।মাস খানেক আগেই প্রবল বর্ষণের জেরে শিলাবতী ও ঝুমি নদীর জলস্তর বেড়েছিল। জলমগ্ন হয়েছিল ঘাটাল পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড-সহ মনশুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকা। সেই জল নামতে না নামতেই নতুন করে নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে আবারও জলমগ্ন হল ঘাটাল পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড।
ফি বছর বর্ষায় বানভাসি হতে হয় ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের। বন্যা বা বন্যা পরিস্থিতি হলেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কথা ওঠে। লোকসভা ভোটের সময়ও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বিস্তর হয়। তিন বারের জয়ী সাংসদ দেব ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে।
গত ১২ জুন সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ। আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হওয়ার কথা। যদিও এ প্রসঙ্গে মাস দুয়েক আগে ঘাটালে এসে দেব দাবি করেন, দূর্বা, চটি, গোমরাই-সহ বেশ কয়েকটি খালের সংস্কার করা হয়েছে। বর্ষার ঠিক আগে চন্দ্রেশ্বর এবং শালটোপা খাল দুটিও সংস্কার করে সেচ দফতর।
খালগুলির সংস্কার হওয়ায় এবারের বর্ষায় ঘাটাল আগের মত বানভাসি হয়নি বলে দাবি সাংসদ দেবের। গত কয়েকদনের নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে শিলাবতী নদীর জলস্তর বাড়লেও তা ভয়াবহ আকার নেবে না বলেই মনে করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি রাখা হয়েছে সব দপ্তরকেই। কিন্তপ পুজোর আগে ভোগান্তি আরও বাড়ে কিনা সেটাই এখন দেখার।