এই সময়: বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাস থেকে পুলিশ সংক্রান্ত মামলা সরানোর আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছিলেন সঞ্জয় দাস নামে এক আইনজীবী। বুধবার সেই আর্জি খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারীর তীব্র সমালোচনা করল।আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই মামলা করে আসলে বিচার ব্যবস্থাকে ভয় দেখানো এবং আইনি প্রক্রিয়ার অপব্যবহার করা হয়েছে। এই মামলা করতে গিয়ে তথ্য গোপন, সত্য তথ্য না দেওয়ার দায়ও হাইকোর্ট চাপিয়েছে মামলাকারীর উপরে। এমনকী, পেশায় আইনজীবী ওই মামলাকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভবিষ্যতে তিনি আর কোনও জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে পারবেন না।
একইসঙ্গে বিচারপতি সিনহার এজলাস থেকে পুলিশ সংক্রান্ত মামলা সরানোর আর্জি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এ দিন বিজেপির ডাকা বন্ধের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছিলেন একই ব্যক্তি। একই যুক্তিতে তাঁর এই মামলাটিও শুনানির আগেই খারিজ করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি সিনহার এজলাস থেকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা বা অতি-সক্রিয়তা সংক্রান্ত মামলা সরানোর জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় দাস। তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী রাধামোহন রায়। দু’জনের ভূমিকারই চরম সমালোচনা করে আদালতের প্রশ্ন, ‘হাইকোর্টকে কি খেলার মাঠ ভাবছেন? নাকি আমাদের বোকা ভাবছেন?’
প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে আদালতকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, মামলার হলফনামায় নিজেকে সমাজসেবী বলে উল্লেখ করলেও কী ভাবে তিনি আইনজীবী মানুষের জন্য কাজ করছেন বা গরিব মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন— তার উদাহরণ দিতে পারেননি। নিজের সম্পর্কে আদালতের কাছে ভুল তথ্যও দিয়েছেন।