এই সময়: ফের বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে ১২টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্মার্ট সিটি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাতে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যের নাম থাকলেও তালিকায় নাম নেই বাংলার। এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল।এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশের মোট ১২টি জায়গায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্মার্ট সিটি তৈরির প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের আগ্রা ও প্রয়াগরাজ, বিহারের গয়া, পাঞ্জাবের রাজপুরা-পাতিয়ালা, উত্তরাখণ্ডের খুরপিয়া, রাজস্থানের যোধপুর-পালি মারওয়াড়, অন্ধপ্রদেশের ওরভাকল, তেলেঙ্গানার কোপারথি ও জাহিরবাদ, কেরলের পাল্লাকাদ এবং মহারাষ্ট্রের দিঘি পোর্ট।
বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, দেশকে শিল্পসমৃদ্ধ করে তুলতে ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে গোটা দেশে স্মার্ট শিল্পনগরী তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। তাতে আনুমানিক মোট ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। সেখানে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ সরাসরি কাজ পাবেন। পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে ২০ লক্ষের মতো।
যদিও স্মার্ট শিল্পনগরীর তালিকায় বাংলার কোনও শহরের নাম না-থাকায় রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলাকে সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত করছে। ওরা বাংলা বিরোধী। তাই হয়তো তালিকায় বাংলাকে রাখা হয়নি। তা সত্ত্বেও বাংলা শিল্পে দ্রুত এগোচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যের দিকে দিকে শিল্পের প্রসার ঘটছে। তবে বাংলা শিল্পক্ষেত্রে এগিয়ে যাক, সেটা কেন্দ্র কিছুতেই চায় না।’
কেন্দ্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রস্তাবিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্মার্ট সিটিতে ভারী শিল্পসংস্থা ছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কারখানা থাকবে। এটা হবে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। থাকবে অত্যাধুনিক মানের রাস্তা। ২৪ ঘণ্টা জল ও বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। দেশ-বিদেশের নামকরা শিল্প সংস্থাগুলি যাতে এখানে বিনিয়োগ করে, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আহ্বান জানানো হবে।
এখানে বিনিয়োগ করলে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা মিলবে। এখানে শিল্প স্থাপনের জন্য আলাদা করে জমি জোগাড় করতে হবে না।ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্মার্ট সিটির অনুমোদন ছাড়াও এ দিন বাংলা, ওডিশা, ঝাড়খণ্ডের জন্য নতুন রেল প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এর জন্য সবমিলিয়ে খরচ হবে প্রায় ৬ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। তা দিয়ে সবমিলিয়ে মোট ৩০০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন তৈরি হবে।