• কালীঘাট-লালবাজার-নবান্ন অভিযানের ডাক শুভেন্দুর
    এই সময় | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়: আরজি কর ইস্যুকে সামনে রেখে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে রাজ্য সরকারের উপরে চাপ বাড়াতে চাইছে বিজেপি। মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানে থেমে না-থেকে এ বার একই দিনে নবান্ন, লালবাজার এবং কালীঘাট অভিযানের পরিকল্পনা করছে পদ্ম নেতৃত্ব।বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি যে যেনতেন প্রকারে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটাতে চাইছে, সে অভিযোগ আগেই করেছিল তৃণমূল। এ বার সামগ্রিক ভাবে তা নিয়ে কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বলনের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য প্রশাসনও। সে কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন এলাকা কালীঘাট চত্বরে টানা দু’মাস ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা (সাবেক ১৪৪ ধারা) জারি করল কলকাতা পুলিশ।

    অর্থাৎ, কালীঘাট চত্বরে যে কোনও ধরণের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলো। কলকাতা পুলিশের তরফে ২৭ অগস্ট, মঙ্গলবার রাতেই জারি করা হয়েছে এই নির্দেশ। যা কার্যকর থাকবে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। পুলিশের নির্দেশিকা অনুযায়ী, উত্তরে টালি নালা থেকে শুরু করে হরিশ মুখার্জি রোড, পূবে বলরাম বোস ঘাট রোড থেকে হাজরা রোড ক্রসিং পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে সমস্ত ধরনের জমায়েত।

    একই ভাবে জমায়েত নিষিদ্ধ হয়েছে দক্ষিণে হরিশ মুখার্জি রোড থেকে রাখাল দাস আঢ্য রোড ক্রসিং পর্যন্ত। জমায়েত নিষিদ্ধ হয়েছে মতিঝিল বস্তি থেকে আলিপুর জেল মিউজিয়াম, বিপ্লবী কানাই ভট্টাচার্য্য সরণি, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার এবং আলিপুর জর্জ কোর্ট সংলগ্ন এলাকাতেও।

    এর মধ্যেই বুধবার সকালে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রস্তুত থাকুন। একদিনে তিনটি অভিযান হবে। কারা করবে, ঠিক সময়ে জেনে যাবেন। কবে করবে, সেটাও জেনে যাবেন। নবান্ন, লালবাজার আর কালীঘাটে অভিযান হবে একদিনে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। আরজি কর হাসপাতালে যে ভাবে এক তরুণী চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে, তার বিচার হবেই।’

    জবাবে তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘একটা অভিযান করতে বাইরের রাজ্য থেকে দুষ্কৃতী আনতে হয়েছে বিজেপিকে। একদিনে তিনটে অভিযান করার লোক বিজেপি পাবে তো? আসল উদ্দেশ্য বাংলাকে অশান্ত করা। সাধারণ মানুষের অশান্তি বাড়ানো। সব থেকে বড় কথা, কোন দাবিতে নিয়ে এই অভিযান হবে? দোষীর শাস্তি তো বিজেপির দাবি নয়। সেটা তো আমরা চাইছি। বিজেপির লক্ষ্য, একটা মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা।’

    মঙ্গলবার ‘ছাত্র সমাজ’-এর নামে যে নবান্ন অভিযান হয়েছিল, তার কথাও সবার প্রথম শোনা গিয়েছিল শুভেন্দুর মুখেই। বুধবার আরও বড় কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন তিনি। এ বারও সেই আন্দোলন যে বিজেপির বদলে অন্য কোনও সংগঠনের ব্যানারে হতে চলেছে সে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন শুভেন্দু নিজেই।
  • Link to this news (এই সময়)