• ব্যর্থ পুনর্বাসনের চেষ্টা! আর জি করের ‘ভিলেন’ অরুণাভকে ঘরবন্দি করলেন মালদহ মেডিক্যালের জুনিয়ররা
    প্রতিদিন | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • বাবুল হক, মালদহ: অভিযোগ খারিজ না হওয়ার আগে কাজে যোগ নয়। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে ডাঃ অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চেষ্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে তাঁকে অপসারণ করা হয়। এর পর মালদহ মেডিক্যালে পুনর্বাসন দেওয়া হয় তাঁকে।

    বৃহস্পতিবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যোগদান করতে যান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। অধ্যক্ষের ঘরে ঢোকার পরই তাঁকে ঘরবন্দি করেন ওই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। বিক্ষোভের মুখে পড়েন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট মেডিসিনি বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান। জুনিয়র চিকিৎসকদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, “অভিযোগ খারিজ না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে দেব না।” মালদহ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম মুখোপাধ্যায় বলেন, “জুনিয়র চিকিৎসকদের কথামতো আমরা বৈঠক করব। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট নাইট শিফট ছিল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। শরীরে ছিল একাধিক ক্ষতচিহ্ন। চেস্ট মেডিসিন বিভাগের পিজিটি ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। এই হত্যাকাণ্ডের সময় চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান ছিলেন ডাঃ অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর প্রমাণ লোপাটের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। সে কারণে অরুণাভর অপসারণের দাবিতে সরব হন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। অবশেষে রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে আর জি করের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পুনর্বাসন দেওয়া হয় তাঁকে। তবে সেখানে গিয়েও বিক্ষোভের মুখেই পড়তে হল অরুণাভকে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)