আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, দক্ষিণ দিনাজপুরে গ্রেপ্তার ১
এই সময় | ২৯ আগস্ট ২০২৪
আরজি করের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ চলছে গোটা দেশ জুড়ে। এর মাঝেই এক আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়।এক পঞ্চম শ্রেণির আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বংশীহারী থানা এলাকায়৷ নাবালিকার বয়স প্রায় ১৩ বছর। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই স্কুল পড়ুয়া। গতকাল রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে যায় বংশীহারী থানার আইসি অসীম গোপ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার-সহ বিশাল কমব্যাট ফোর্স। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে৷
ঘটনায় স্থানীয় এক তৃণমূল বুথ সভাপতির ছেলে জড়িত বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত পালাতে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। দৌলতপুর এলাকা থেকে পুলিশ অভিযুক্ত প্রিয়নাথ রাজবংশীকে ধরে ফেলে। অন্যদিকে, গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ধৃত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যরা তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। বাবা নরেশ রাজবংশী তৃণমূলের বুথ সভাপতি।
সূত্রের খবর, ওই নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর তাকে খুন করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। বংশীহারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তের প্যান্ট ও জুতা উদ্ধার করেছে। গতকাল গভীর রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত৷ পাশের ঘরে তার বাবা-মা ঘুমোচ্ছলেন। অভিযোগ, সেই সময় ওই স্কুল ছাত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করা হয়। প্রমাণ না রাখার জন্য অভিযুক্ত তাকে খুন করার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। চিৎকারে ছুটে আসে পরিবার ও প্রতিবেশীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এদিকে রাতেই নির্যাতিতা নাবালিকাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার পর জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল ফোনে জানান, ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার পর তৃণমূল জেলা সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, ‘এই ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। আমরা পরিবারের পাশে আছি। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি, যেই দোষী হোক না কেন, তাকে গ্রেপ্তার করে সঠিক তদন্ত করে যেন আদালতের সামনে পেশ করা হয়। তার কঠোর শাস্তি হোক, সেটাই আমরা চাই।’