সোদপুরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে
এই সময় | ২৯ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই আবহে আবারও সোদপুর নাটাগড় এলাকায় আরজি করের নির্যাতিতার বাড়ি থেকে অল্প দূরে এক মহিলাকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিজেপির স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘোলা থানার পুলিশ ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।পানিহাটি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। ওই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা ধৃত নেতা স্পন্দন দাস। সে ওই এলাকার বিজেপির বুথ সভাপতি। পেশায় সে আইনজীবী বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, অসুস্থ মাকে দেখাশোনা করার জন্য টালিগঞ্জ থেকে এক তরুণীকে বাড়ি নিয়ে আসে স্পন্দন।
নির্যাতিতার অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বুধবার সারা রাত ধরে যৌন নির্যাতন চালায় বিজেপির ওই নেতা। বৃহস্পতিবার ভোরে সুযোগ পেয়ে স্পন্দনের বাড়ি থেকে পালানোর সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বিস্তারিত জানিয়ে যান ওই তরুণী। তরুণীকে নির্যাতনের খবর জানাজানি হতেই এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বিজেপি নেতাকে লোকজন ধরতে গেলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। স্পন্দনকে ধরে ফেলে গণপিটুনি দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় ঘোলা থানায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্পন্দনকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সোদপুরের নাটাগড় এলাকায়। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক স্তরেও শোরগোল শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব কটাক্ষ করে জানান, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপি সরব হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের প্রশ্ন, এখন নিজেদের দলের নেতার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় কী বলবেন বিজেপি নেতারা?
তবে স্থানীয় বিজেপি নেতারা জানান, ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে কোনও মন্তব্য করা ঠিক নয়, আর এই ধরনের অপরাধীদের কোনও পরিচয় হয় না,এদের একটাই পরিচিতি এরা দোষী। তার জন্য কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিৎ। পুলিশ তদন্ত করছে, দোষী প্রমাণ হলে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হোক বলে দাবি করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা জয় সাহা। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।