• নন্দনকাননের একাধিক নতুন অতিথিরা এল আলিপুর চিড়িয়াখানায়, কবে দেখা যাবে?‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • দুর্গাপুজোর আগে বড় খবর হতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। ওড়িশার ননন্দকানন থেকে বাংলায় আনা হয়েছে একাধিক নতুন অতিথি। যা নিয়ে এখন সরগরম আলিপুর চিড়িয়াখানা। কিন্তু এই নতুন অতিথিদের এখনই দর্শকদের সামনে আনা হচ্ছে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। আগে এই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পরই দর্শকদের সামনে নিয়ে আসা হবে নতুন অতিথিদের। এবার কমবয়সী বাঘ–সিংহ নিয়ে আসা হল কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। বুধবার নন্দনকানন থেকে সোজা আলিপুরে এসেছে একজোড়া সিংহ, একটি বাঘিনি, দুটি মাদি হিমালয়ান ব্ল্যাক বেয়ার এবং দু’জোড়া মাউস ডিয়ার। কদিন পরই চিড়িয়াখানায় পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র হতে চলেছে এই নতুন অতিথিরাই।

    এদিকে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানান, এক জোড়া সিংহ, একটি স্ত্রী বাঘ আনা হয়েছে। তার সঙ্গে দুটি হিমালয়ান কালো ভালুক এবং ৪টি মাউস ডিয়ার আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ইঁদুরের মতো দেখতে এই মাউস ডিয়ার বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। চোরাশিকারিদের অত্যাচারে হারিয়ে যেতে বসেছে শান্ত প্রাণীটি। দর্শকরা দেখতে পেলে খুব আনন্দ পাবে। আর এটা চিড়িয়াখানার আকর্ষণ বাড়াবে। নতুন অতিথিদের রাখা হয়েছে প্রত্যেক প্রাণীর জন্য নির্দিষ্ট নাইট শেল্টারে। একসপ্তাহ সেখানে তারা থাকবে। তাতে যাত্রাপথের ক্লান্তি দূর হবে। আবার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষও ভাল করে তাদের পরিচর্যা করে নিতে পারবে। এই কাজ হয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সবুজ সংকেত পেলেই ‘পাবলিক ডিসপ্লে’ করা হবে।

    অন্যদিকে নতুন অতিথিরা আসার পরে আলিপুরে বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯। আর চিড়িয়াখানায় ৫টি বাঘিনি এবং ৪টি বাঘের সংসার। এবার সেখানে সিংহের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬টি। তাদের মধ্যে ৪টি সিংহী, ২টি সিংহ। আলিপুর চিড়িয়াখানায় এতদিন দুটি পুরুষ হিমালয়ান কালো ভালুক ছিল। এবার আরও দুটি ভালুক যুক্ত হল। কমবয়সী প্রাণী আনার নেপথ্য কারণ কি ক্যাপটিভ ব্রিডিং?‌ এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, ‘‌একমাত্র ক্যাপটিভ ব্রিডিং লক্ষ্য নয়। যে বাঘ বা সিংহের অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে, তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন চিড়িয়াখানায় পাবলিক ডিসপ্লে তাদের দিয়ে হয় না। নন্দনকানন থেকে এবার যাদের আনা হয়েছে, সেই বাঘিনি আর সিংহ জোড়ার বয়স ২ থেকে ৩ বছর। তারা এনক্লোজারে দৌড়ঝাঁপ করলে দর্শকদের আকর্ষণ বাড়বে। বাচ্চারা আনন্দ পাবে এবং চিড়িয়াখানার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি হবে।’‌

    এছাড়া সামনে উৎসবের মরশুম। তারপর শীত পড়ে যাবে। এই আবহে আলিপুর চিড়িয়াখানায় দর্শকদের ভিড় বাড়বে। সেখানে নতুন অতিথির খবর পেলে আরও ভিড় জমাবেন মানুষজন। এমন পরিস্থিতিতে নতুন অতিথিদের তৈরি করা হবে। যা দেখে শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই আনন্দ পাবে। গত ১৭ অগস্ট দাঁতের অস্ত্রোপচারের পরে চিড়িয়াখানার বয়স্ক জলহস্তীর মৃত্যু হয়েছে। এখন চিড়িয়াখানায় মাত্র একটিই মাদি জলহস্তী সাথীহারা হয়ে রয়েছে। চিড়িয়াখানার ডিরেক্টরের কথায়, এবার ৯টি প্রাণী আনা হয়েছে। পরের ধাপেই একজোড়া জলহস্তী আসবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)