মৃতদেহ আবৃত ছিল কোন রঙের চাদরে? সত্য় উন্মোচন পুলিশের
এই সময় | ৩০ আগস্ট ২০২৪
লাল, নীল না সবুজ। আরজি করের মৃত চিকিৎসকের দেহ কোন রঙের রঙের চাদরে আবৃত ছিল? দানা বেধেছে নতুন রহস্য। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, তাঁরা মেয়ের দেহ সবুজ চাদরে আবৃত অবস্থায় দেখেছেন। তাঁর দেহ লাল চাদরে আবৃত ছিল বলেও অনেকের দাবি। ছবিতে দেখা গিয়েছে, সেখানে নীল রঙের চাদর ছিল। বিষয়টি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কলকাতা পুলিশ।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘চাদরের রং ছিল নীল। ভিডিয়োগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি করা হয়েছে। আমরা সিজার করেছি নীল রঙের চাদর। সবুজ বা লাল রঙের চাদর ছিল না।’ তবে লাল রঙের চাদর নিয়ে যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়টি নিয়ে ডিসি সেন্ট্রাল বলেন, ‘লাল রঙের কাপড় মাথায় দিয়ে এই তরুণী সেই রাতে ঘুমাচ্ছিলেন। দেহের উপর চাদরের রং নীলই ছিল। সিবিআই-কেও আমরা এই কেস ডাইরি হাতে তুলেছি। যেখানে নীল রঙের চাদরের উল্লেখ করা রয়েছে।’ বিষয়টি নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
যদিও, নির্যাতিতার মা বলছেন, ‘প্রথম তিনটের সময় নাকি একজন আমার মেয়ের কাছে গিয়েছিল। সে নাকি দেখেছিল, আমার মেয়ে লাল চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমোচ্ছে। পরে একজন ফটো দেখেছে, সে নীল চাদর গায়ে দেওয়া। আমরা যখন দেখেছি, তখন দেখেছি সে সবুজ চাদর গায়ে দেওয়া। কিন্তু, যখন নীল চাদর গায়ে দেওয়া, তখন তার ওই বেড থেকে পা অনেকটা দূরে, এই ফটোটাও আমরা দেখেছি এবং আমরা যখন দেখেছি, তখন পা-গুলো সামনে একদম পুরো সাজিয়ে গুছানো।’ বারবার ভিন্ন চাদর বদলের বিষয়টি উঠে আসায় প্রমাণ লোপাট করার সম্ভাবনার কথা আলোচনা হতে থাকে। তবে, পুলিশের তরফে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়, চাদর পরিবর্তন হয়নি। তবে, লাল একটা কাপড় ওই তরুণীর ছিল। সেটা তাঁর মাথার কাছে ছিল। সেটা ঢাকা দিয়ে উনি শুতে যাননি। সেই কাপড়টি পুলিশ আগেই সিজ করেছে বলে দাবি করেন ডিসি সেন্ট্রাল।
পাশাপাশি, বৃহস্পতিবারই বেশ কিছু অডিয়ো ক্লিপ (সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন) সামনে এসেছে। যেখানে হাসপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গে নির্যাতিতার মা-বাবার কথোপকথন উঠে এসেছে। সেখানে ওই তরুণী চিকিৎসক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ডিসি সেন্ট্রাল বলেন, ‘আমরা এতদিন ধরে এটাই বলে আসছিলাম, আমরা কোনওভাবে পরিবারকে আত্মহত্যার বিষয়টি জানায় নি। সেটাই এই অডিয়ো কল থেকে প্রমাণিত হয়।’ আত্মহত্যার বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল বলে দাবি করছে এই অডিয়ো কল।