জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আবার সেই সিভিক ভলান্টিয়ার! ব্রাউন সুগার-সহ এবার হাতেনাতে পাকড়াও করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ধরা পড়ল আরও ১ জন। দু'জনকে আটক করেছে পুলিস। চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম কিশোর রায়। জলপাইগুড়িরই বানারহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত তিনি। আজ, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি শহর থেকে বাস চেপে ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, মাঝ-পথে বাস থেকে নেমে মাদক সেবন করছিলেন কিশোর। ঘটনাটি নজরে পড়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরপর পাকড়াও করা হয় তাঁকে। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাছে পাওয়া যায় ব্রাউন সুগার, এমনকী নেশার ট্যাবলেটও! রীতিমতো তাজ্জব বনে যান এলাকার লোকেরা।
খবর দেওয়া হয় জলপাইগুড়ির কোতুয়ালি থানায়। তাঁর কাছে ব্রাউন সুগার রয়েছে, তা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত। তিনি জানান, জলপাইগুড়ি স্টেশন রোড থেকে ব্রাউন সুগার নিয়ে এসেছে। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁর সঙ্গীকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিস। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যাঁদের, সেই সিভিক ভলেন্টিয়ার যদি নেশার সামগ্রীর কারবারে যুক্ত হয়ে তাহলে গ্রামগঞ্জের কি পরিস্থিতি হবে? অভিযুক্ত কড়া শাস্তির দাবিতে তুলেছেন তাঁরা।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে তোলপাড় চলছে রাজ্য। সেই ঘটনা যাঁকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস, সেই সঞ্জয় রায়ও সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযুক্ত এখন সিবিআইয়ে হেফাজতে।
২০১৯ সালে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে চাকরি পায় সঞ্জয়। কিন্তু একদিনও কাজ করেনি সে। প্রভাব খাটিয়ে চলে যায় ওয়েলফেয়ার কমিটিতে। এমনকী, নিয়ম ভেঙে কলকাতা পুলিসে চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্য়ারাকেও থাকতে শুরু করে আরজিকর কাণ্ডে অভিযুক্ত। কীভাবে? সিবিআই সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিসের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের র এএসআই অনুপ দত্তের অধীনের কাজ করত সঞ্জয়। চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের বারাকে নিজে যে ঘরে থাকতেন, সেই ঘরে সঞ্জয়ের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন এই অনুপই। এমনকী, ওয়েলফেয়ার কমিটিতে থাকার সুবাদের বরাদ্দ করে দেন একটি বাইকও।