এই সময়, ভাটপাড়া: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ করে গুলি চালানোর ঘটনায় ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বৃহস্পতিবার ওই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন। যদিও জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের পাল্টা দাবি, প্রিয়াঙ্গুর নির্দেশেই গাড়িতে গুলি চালিয়েছিল তাঁরই একদা সঙ্গী ওই দুষ্কৃতীরা।
বুধবার ভাটপাড়ায় ঘোষপাড়া রোডের উপর প্রিয়াঙ্গুর গাড়িতে গুলি চালানো এবং ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় প্রিয়াঙ্গুর সঙ্গী বিজেপি কর্মী রবি সিং এবং রবি বর্মা নামে দু’জন জখম হন। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।প্রিয়াঙ্গুর অভিযোগ, তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা হয়েছিল। অর্জুন সিং অভিযোগ করেন, বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের নির্দেশেই প্রিয়াঙ্গুর গাড়িতে গুলি চালানো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই আট অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল ও একটি বোমা।
তবে প্রাক্তন সাংসদের অভিযোগ মানতে নারাজ সোমনাথ। তাঁর কথায়, ‘যে দু’জন জখম হয়েছে তাদের কেউ গুলিতে আহত হয়নি। দু’জনের বিরুদ্ধেই সাম্প্রতিক অতীতে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারও করেছিল। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, তারা একসময় প্রিয়াঙ্গুরই সঙ্গী ছিল। বিষয়টা নিজেদের মধ্যে লড়াই, গ্যাংওয়ার ছাড়া কিছু নয়।’
এ দিন ভাটপাড়া থানা থেকে ঘটনায় ধৃতদের বের করে ব্যারাকপুর আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রশ্নের উত্তরে দুই দুষ্কৃতী জানায়, প্রিয়াঙ্গুর নির্দেশেই তাঁর গাড়িতে গুলি চালিয়েছিল তারা। ওই দু’জন জানান, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়ার উদ্দেশ্যেই এই পরিকল্পনা করেন প্রিয়াঙ্গু।
যদিও বিজেপির দাবি, এই অভিযোগ হাস্যকর। ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘আমি পুলিশ কমিশনারকে জানিয়ে দিয়েছি, যারা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে কোনও রং না দেখে।’ ব্যারাকপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর ও গোয়েন্দা) গণেশ বিশ্বাস বলেন, ‘ঠিক কী কারণে হামলা তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে।’