• ‘সিবিআইয়ের ওপর এবার চাপ বাড়ান’ আবেদন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি করের ঘটনায় নাগরিক সমাজের দাবি একটাই- সেটা হল দ্রুত বিচার চায়। প্রথমের দিকে এই দাবিকে ঘিরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জোরদার আন্দোলন করেছিল নাগরিক সমাজ। এই দাবিতে এখনও আন্দোলন অব্যাহত প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিক্ষোভ মিছিল বা আন্দোলন চলছে। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। কিন্তু, ঘটনায় দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তিকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই অবস্থায় সিবিআই তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগেই সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নাগরিক সমাজেও এনিয়ে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। ১৪ দিন ধরে তদন্ত করার পরেও সিবিআই কী করছে? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নাগরিক সমাজে। আর সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে এবার ধৈর্য হারাচ্ছেন নির্যাতিতার পরিবার। এই অবস্থায় নির্যাতিতার পরিবার চাইছে এবার সিবিআইয়ের ওপর চাপ বাড়ানো হোক।

    বুধবার নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআইয়ের একটি দল। নির্যাতিতার মা জানান, সিবিআই আধিকারিকরা তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য জানতে চেয়েছেন। তাঁরা সেগুলি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, সিবিআই তাঁদের বলেছে, তারা তাদের সাধ্য মতো চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সিবিআইয়ের তদন্তের গতি নিয়ে সন্তুষ্ট নন নির্যাতিতার পরিবার। তারা চাইছেন মেয়ের হত্যাকারীর দ্রুত শাস্তি হোক। 

    নির্যাতিতার বাবা জানান, তারা চাইছেন এখন সবাই সিবিআইয়ের ওপর চাপ বাড়াক। তিনি জানান, সিবিআই অনেক বড় সংস্থা। তাদের সুনাম আছে। সেই সুনাম অনুযায়ী তাড়াতাড়ি কাজ করে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য তাঁরা সিবিআইয়ের কাছে অনুরোধ করেছেন। প্রসঙ্গত, আরজি করের প্রাক্তন অধক্ষ্য সন্দীপ ঘোষকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করে যাচ্ছে সিবিআই। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সেই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন নির্যাতিতার বাবা।

    অন্যদিকে, নির্যাতিতার পরিবার চাইছেন সুবিচারের দাবিতে যে প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে তা যেন অব্যাহত থাকে। তবে এই প্রতিবাদ আন্দোলনের মধ্যে কোনও হতাহত হোক সেটাও তাঁরা একেবারেই চান না। উল্লেখ্য, আরজি করের প্রতিবাদে ছাত্র সমাজের তরফে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তারপরের দিনই পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বিজেপি বনধ ডাকে। নির্যাতিতার বাবা অবশ্য বনধকে সমর্থন করেননি। জনজীবন ব্যাহত হোক তা তাঁরা চান না। আবার বনধ যে ব্যর্থ হোক সেটাও তাঁরা চান না। তাঁরা চাইছেন, শাস্তির দাবিতে এবং বিচারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকুক।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)