• বাবলারিতে ৪ বছর আগে বাড়ি বাড়ি ট্যাপ বসলেও এখনও মেলে না জল
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: প্রায় চারবছর আগে বাড়ি বাড়ি ট্যাপকলের লাইন পৌঁছে গিয়েছে। অথচ এখনও ওই কলে জল আসেনি। বারবার পঞ্চায়েতকে জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে নবদ্বীপের বাবলারি পঞ্চায়েতের প্রাণগোপালনগর ও নিতাইনগর এলাকার প্রায় চারশোর বেশি পরিবার ক্ষুব্ধ। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে কিছু টিউবওয়েল, একটি সজলধারা প্রকল্প ও লাগোয়া পুর এলাকার কিছু ট্যাপকলই ভরসা। নিতাইনগরের বেশকিছু বাড়িতে কল দিয়ে জল পড়লেও প্রাণগোপালনগরের কোনও বাড়িতেই জল পৌঁছয়নি।

    বাবলারি পঞ্চায়েতের ওই দু’টি এলাকায় প্রায় চার বছর আগে রাস্তা খুঁড়ে বাড়ি বাড়ি পাইপ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রতিটি বাড়িতে ট্যাপকল লাগানোর কাজও প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতে এখন সেসব ট্যাপকলের গোড়ায় মরচে পড়ে গিয়েছে। কারও কারও বাড়ির কল ভেঙে পড়ে আছে। অনেকে কলের মুখ খুলে ঘরে রেখে দিয়েছেন। জল এলে তবে কলের মুখ লাগানো হবে।

    বাবলারি পঞ্চায়েতের সদস্য কৃষ্ণরঞ্জন শর্মা বলেন, প্রাণগোপালনগরের কোনও বাড়িতে জল আসে না। তবে নিতাইনগরের কিছু বাড়িতে জল মেলে। এই দু’টি এলাকার ট্যাপকলে জল দেওয়ার জন্য পিএইচইর সঙ্গে আমাদের সাতবার মিটিং হয়েছে। ওরা সমীক্ষাও করেছে। যতদূর শুনেছি, কোনও টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য জল মিলছে না। পিএইচই কবে যে এই সমস্যা সমাধান করবে, তা আমরা বুঝতে পারছি না। মানুষ জলের জন্য বারবার আমাদের কাছে দরবার করছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হয়ে আমরা কোনও সদুত্তর দিতে পারছি না।

    বাবলারি পঞ্চায়েতের প্রধান নারায়ণ কর্মকার বলেন, পিএইচই যে ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করিয়েছিল, তাদের তিন ফুট মাটির নীচ দিয়ে পাইপ নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ওরা প্লাস্টিকের পাইপ দিয়েছে। তাও আবার সেই পাইপ তিন ফুটের বদলে মাটির এক ফুট নীচ দিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ফলে ভারী গাড়ি গেলেই পাইপ ফেটে যাচ্ছে। সেজন্য পাইপ সিল করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বারবার পিএইচই’র ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলেছেন, ওই জায়গায় প্লাস্টিকের পাইপের বদলে লোহার শক্ত পাইপ বসানো হবে। কিন্তু কিছুই করেননি। শুরুতে কিছু মানুষ জল পেয়েছিলেন। পাইপ সিল করার পর থেকে আর জল পাচ্ছেন না। কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা শাসক শারদ্বতী চৌধুরী বলেন, পিএইচইর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও নবদ্বীপের বিডিওকে এনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। যাতে পানীয় জলের সংকট না হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)