• মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল গ্রন্থাগারের উদ্বোধন
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপের মায়াপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হল ডিজিটাল লাইব্রেরি। আঙুলের স্পর্শে খুলে যাচ্ছে বইয়ের দুনিয়া। কিউআর কোড স্ক্যান করলেই মোবাইলে মিলবে প্রাথমিকের পাঠ্য বই, একশোরও বেশি শিশু পাঠ্যবই, ছড়া। বৃহস্পতিবার নদীয়া জেলায় প্রথম পূর্ব মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লাইব্রেরির উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন নবদ্বীপ উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক জানবাস শেখ। উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপ বকুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সাহা, শিক্ষক, কবি ও সাহিত্যিক সিরাজুল ইসলাম ও নবদ্বীপ হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুখেন্দুনাথ রায়।


    এখন থেকে ডিজিটাল লাইব্রেবির কিউআর কোড স্ক্যান করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। সেইসঙ্গে মিলবে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা থেকে যাবতীয় ডিজিটালাইজড তথ্য। ডিজিটাল দুনিয়ায় নদীয়া জেলার প্রথম স্কুল হিসেবে পূর্ব মোল্লাপাড়ার ডিজিটাল লাইব্রেরি এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে।


    ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়ের ডিজিটাল লাইব্রেরির বোর্ডে রাখা হয়েছে কিউ আর কোডগুলি। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বোর্ড থেকে স্ক্যান করে যে কেউ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষাদপ্তরের প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২৬টি বইয়ের পিডিএফ ভার্সন পাবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিরণ শেখ বলেন, শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই অনেক ছাত্রছাত্রী সরকারি পাঠ্যবই ছিঁড়ে ফেলে বা হারিয়ে ফেলে। অনেক অভিভাবক এসে নতুন বই দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু অতিরিক্ত বই হাতে না থাকায় আমরা দিতে পারি না। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে ‘ডিজিটাল লাইব্রেরি’র ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও স্কুলের ‘ডিজিটাল লাইব্রেরি’র মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে অবসর সময়ে ‘গল্পের সম্ভারে’র কিউআর কোড স্ক্যান করে গল্পের বই পড়তে পারবে। 


    এই ‘ডিজিটাল লাইব্রেরি’র জন্য বিদ্যালয়ের লোগো দিয়ে কিউআর কোড বানানো থেকে প্রযুক্তির সকল কাজ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এবার ছাত্রছাত্রীরা বেড়াতে গেলেও বাবা মায়ের ফোনে কিউআর কোড স্ক্যান করে  পড়াশোনা করতে পারবে। 


    প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন ২০০১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যাবতীয় নথিও ডিজিটালাইজড করা সম্ভব হয়েছে। বিদ্যালয়ের অনেক প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী স্কুলের সার্টিফিকেটের জন্য মাঝেমধ্যেই আসেন। অনেক পুরনো খাতা খুঁজে বের করে সার্টিফিকেট দেওয়া সময় সাপেক্ষ বিষয়। এখন থেকে স্কুলের ডিসপ্লে বোর্ড থেকে অ্যাডমিশন রেজিস্ট্রারের কিউআর কোড স্ক্যান করে তাঁদের ভর্তির সাল, জন্ম তারিখ, সিরিয়াল নম্বরের মতো তথ্য প্রাক্তনীরা জানতে পারবেন। খুব সহজেই বিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন।


    ডিজিটাল লাইব্রেরিতে রয়েছে বিদ্যালয়ের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল। যার মধ্যে পড়াশোনার ভিডিও থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিদ্যালয়ের খবর। এছাড়াও রয়েছে বিদ্যালয়ের নিজস্ব ফেসবুক পেজ, গুগল ম্যাপে বিদ্যালয়ের অবস্থান, অজস্র ছবি, ভিডিও, খবরের কাগজের ক্লিপিংস সহ প্রচুর নথি।
  • Link to this news (বর্তমান)