• ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষের লক্ষ্য
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পূর্ব বর্ধমানে জাতীয় সড়ক সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। তবে হুগলি জেলার কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে বেশকিছু সমস্যা ঩নিয়ে আলোচনা হয়। অধিকাংশ সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তেজগঞ্জে ওভারব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে র‌্যাম্প তৈরি হবে বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছে। সেটির স্কেচও জমা করা হয়েছে। সেখানে বয়স্ক লোকজনদের কথা ভেবে লিফ্ট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মহকুমা শাসক (সদর) তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, র‌্যাম্প তৈরির বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষর সঙ্গে বিস্তারিত আলাচনা হয়েছে। সেটা হলেও এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধা হবে।


    তেজগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সুভাষ বালো বলেন, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরুর সময় থেকেই আমরা ওভারব্রিজের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। সেখানে র‌্যাম্প তৈরি করা হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। লিফ্ট বসানো হলে সেটা ভালোভাবে কর্তৃপক্ষকে দেখভাল করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, দীর্ঘদিন লিফ্ট খারাপ হয়ে পড়ে থাকে। তা সারাই করার উদ্যোগ নেওয়া হয় না। সেটা হলে এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়বেন। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গলসি থানা এলাকার ভাসাপুলেও ওভারব্রিজ তৈরির দাবি রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। দাবি পূরণে তাঁরা বেশ কয়েকবার বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। কিন্তু তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এক আধিকারিক বলেন, ওখানে টেকনিক্যাল সমস্যা রয়েছে। সেই কারণেই এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তবে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ ভালোভাবেই এগচ্ছে। উল্লাস মোড়ে ওভারব্রিজ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পুজোর আগেই এই ওভারব্রিজের উপর দিয়ে গাড়ি চালানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। শক্তিগড় থানা এলাকার উড়ালপুলগুলির উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে। নবাবহাটের কাজও দ্রুতগতিতে এগচ্ছে। বৃষ্টির জন্য কয়েকদিন কাজ ব্যাহত হয়েছিল। এখন আবার কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে। সার্ভিস রোডগুলিও সংস্কার করা হবে। জল জমে সার্ভিস রোডগুলি বেহাল হয়ে রয়েছে। গলসি থানা এলাকার সার্ভিস রোডগুলির হাল সবচেয়ে খারাপ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছে, বর্ষা শেষ হলেই সংস্কারের কাজ শুরু হবে। রাস্তায় ২০০ মিটার অন্তর সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। গলসি ও বুদবুদ থানা এলাকার অনেক জায়গাতেই ক্যামেরা বসানো হয়ে গিয়েছে। তেজগঞ্জে র‌্যাম্প তৈরির কাজও দ্রুত শুরু হবে। খুব সহজেই রাস্তার এপার থেকে ওপার করা যাবে। র‌্যাম্প তৈরি না হলে দুর্ঘটনা বেড়ে যেত বলে স্থানীয়দের দাবি।
  • Link to this news (বর্তমান)