• বৃষ্টির অভাব, রোদে লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে খেত
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: গত একমাস ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি নেই। জমিতে জলের অভাব দেখা দিয়েছে। আমন ধানের খেতে পর্যাপ্ত জল না থাকায় জন্মাচ্ছে আগাছা। কাঠফাটা রোদে নিড়ানির কাজও করতে পারছেন না মাথাভাঙার কৃষকরা। ফলে এবার ফলনে মার খাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। একইসঙ্গে শ্রমিক না পাওয়ায় কৃষকরা আমন খেতে আগাছানাশক স্প্রের কাজ শুরু করেছেন। যদিও কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জল না থাকলে আগাছানাশক ব্যবহার করে সুফল মিলবে না। জমিতে সেচ দেওয়া সহ হাত দিয়ে নিড়ানি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষিদপ্তর। এই সময়ে আমন খেতে পাশকাটি ছাড়ার সময়। পর্যাপ্ত জল না থাকায় জমি শুকিয়ে যাওয়ায় পাশকাটিও হচ্ছে না ঠিকমতো। ফলে ফলনে মার খাওয়ার আশঙ্কা যেমন দেখা দিয়েছে, তেমনই একটু উঁচু জমির আমন খেত লাল হয়ে শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। 

    কৃষিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, এ বছর জেলায় ২ লক্ষ ১১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে মাথাভাঙা মহকুমায় ৫৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে আমন ধান লাগিয়েছেন চাষিরা। মাথাভাঙা মহকুমার কৃষক শ্রীমন্ত বর্মন, সজল বর্মন বলেন, গত প্রায় একমাস ধরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি নেই। জমিতে চাপান সার প্রয়োগ করার পর আগাছা আরও দ্বিগুণ গতিতে বাড়ছে। একইসঙ্গে প্রচণ্ড রোদ। আগাছানাশক ব্যবহার করায় চারাগাছ লাল হয়ে পুড়ে যাচ্ছে। 

    মাথাভাঙা-২ ব্লকের সহকৃষি আধিকারিক মলয়কুমার মণ্ডল বলেন, এই সময়ে কৃষকরা জমিতে সেচ ব্যবহার করতে পারেন। একইসঙ্গে আগাছানাশক ব্যবহার করার চেয়ে হাত দিয়ে নিড়ানি দেওয়া বেশি কার্যকর। লাইন করে জমিতে চারাগাছ রোপণ করলে নিড়ানি দিতে সুবিধা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)