• ২৯টি চোরাই বাইক সহ ধৃত মাথাভাঙার ৭ দুষ্কৃতী
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: কোচবিহারের মাথাভাঙায় বসে উত্তরবঙ্গ জুড়ে বাইক চুরি। অবশেষে ধূপগুড়ি পুলিসের হাতে পাকড়াও হল সেই গ্যাং। উদ্ধার হয়েছে ২৯টি চোরাই বাইক। ঘটনায় পুলিস সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধূপগুড়ি থানার এই  সাফল্যে খুশি জলপাইগুড়ি জেলা পুলিস। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার খণ্ডবাহালে উমেশ গণপত। এতে ধূপগুড়ি মহকুমা পুলিস আধিকারিক গিলসেন লেপচা, আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য পুলিস আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা হল চন্দন বর্মন, অজয় বর্মন, সোনাই সরকার, রাজু সরকার, শুভজিৎ দাস, কানাই অধিকারী এবং বলাই অধিকারী। ধৃত সাত জনই কোচবিহারের মাথাভাঙার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। 


    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথাভাঙায় বসে ধৃতরা উত্তরবঙ্গ জুড়ে বাইক চুরির চক্র চালাত। তাদের এজেন্টরা জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি এবং কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাইক চুরি করে। এরপর সেই বাইক নিয়ে যাওয়া হয় গোপন ডেরায়। সেখান থেকে চোরাই বাইক বিভিন্ন  জায়গায় পাচার করা হয়। ২১ আগস্ট ধূপগুড়ি থানায় বাইক চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এনিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিস। এই ঘটনায়  ২২ আগস্ট একজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই মাথাভাঙার গ্যাংয়ের হদিশ মেলে। এরপর ২৩ আগস্ট এবং ২৫ আগস্ট পুলিসের একটি  বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে সাত জনকে গ্রেপ্তার করে এবং বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বাইকগুলি উদ্ধার করে। পুলিসের এই সাফল্যে অনেকেই খুশি।  জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার বলেন, তিনটি জেলা থেকে তারা বাইকগুলি চুরি করেছিল। আমরা আট দিন ধরে তদন্ত চালিয়ে তাদের ধরতে সক্ষম হই। আমাদের তদন্ত চলবে। 


    পাশাপাশি এদিন ধূপগুড়ি থানার সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার। ধূপগুড়ি শহরের নিরাপত্তা জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে ৩০ সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)