বাস ও অটোর যাত্রী তোলার জায়গা নির্দিষ্ট করল প্রশাসন
বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৪
সংবাদদাতা, চাঁচল: যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে বাস ও অটো চালকের বচসায় ৩১ জুলাই সারাদিন চাঁচল-মালদহ রুটে বাস বন্ধ রেখেছিলেন চালকরা। পরিষেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছিলেন যাত্রীরা। কোন স্টপে কারা যাত্রী তুলবে, তানিয়ে জট ছিল। সেই জট কাটাতে বৃহস্পতিবার চাঁচল থানায় চালকদের নিয়ে বৈঠক করে প্রশাসন। উপস্থিত ছিলেন চাঁচলের মহকুমাশাসক শৌভিক মুখোপাধ্যায়, মহকুমা পরিবহণ আধিকারিক মদন লামা, চাঁচল থানার আইসি পুর্ণেন্দু কুণ্ডু ও আইএনটিটিইউসির ব্লক সভাপতি অমিতেষ পান্ডে প্রমুখ। প্রশাসন চালকদের নির্ধারিত স্টপ ধার্য্য করে দিয়েছে। ইয়ুথ ক্লাবের সামনে একটি করে অটো যাত্রী তুলবে। একশো মিটার দূরে পোস্ট অফিসের কাছে একটি করে বাস যাত্রী তুলবে। কোনও অতর্কিত ঘটনায় বাস বন্ধ না রেখে আইনের পথে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চালকদের। প্রশাসনের নির্দেশকে বাস ও অটোচালক- দু’পক্ষই মেনে চলার কথা জানিয়েছে। তবে এই জট কাটলেও চাঁচল সদরে থাকা ৩১ নং জাতীয় সড়কের ধারে কাজী নজরুল বাস টার্মিনাস দ্রুত সরানোর দাবি উঠেছে। কারণ, যানজট সমস্যার মূলে রয়েছে অপরিকল্পিতভাবে তৈরি হওয়া এই বাসস্ট্যান্ড। চাঁচল মালদহ রুটে এখান থেকে শতাধিক বাস প্রতিদিন চলাচল করে। বাস ঘোরানোর সময় জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর এই দুর্ভোগ কয়েক দশকের। চাঁচলের এক বধূ পাপিয়া দাস বলেন, মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাসস্ট্যান্ডে প্রায় পাঁচ মিনিট আটকে থাকতে হয়। হেঁটে যাওয়া যায় না। এখান থেকে বাসস্ট্যান্ড সরালে যানজট থেকে সকলে মুক্তি পাবেন।
ইতিমধ্যে জেলাশাসকের নির্দেশে বাসস্ট্যান্ডের জন্য বেশ কয়েকটি জমি পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রশাসন তৎপর রয়েছে এই সমস্যা মেটানোর জন্য। সবদিক খতিয়ে দেখে জমি চূড়ান্ত হলেই নতুন বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ শুরু হবে। চাঁচলের মহকুমাশাসক বলেন, মাসখানেক আগে জেলাশাসক নিজে এসে জমি দেখে গিয়েছেন। আমরাও বেশ কয়েকটি জমি দেখেছি। লোকেশন ও উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরির সঠিক জমি পেলেই বাসস্ট্যান্ড সরানো হবে। কাজী নজরুল বাস টার্মিনাসের সম্পাদক ফানেসুর রহমান বলেন, আমরা চাই, বাসস্ট্যান্ড অন্যত্র সরানো হোক।