তিনলক্ষ টাকার জালনোট সহ ধৃত নাবালক ও এক প্রতিবন্ধী
বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৪
সংবাদদাতা, কালিয়াচক: বিএসএফের ১১৫ নং ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের হাতে ধরা পড়ল দুই জালনোট পাচারকারি। ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক। আরেকজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন রমজান শেখ। ধৃতরা দু’জনই মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার ধুলিয়ানের বাসিন্দা।
বুধবার রাত দশটা নাগাদ দৌলতপুর ক্যাম্প সংলগ্ন পারদেওনাপুর গ্রামে স্থানীয়রা ওই দু’জনকে সন্দেহজনকভাবে বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। তাঁরা বিএসএফকে ফোন করে বিষয়টি জানান। বিএসএফ জওয়ানরা এলাকায় গেলে তাঁদের দেখে বাইক নিয়ে পালাতে যায় অভিযুক্তরা। কিন্তু বাইক থেকে পড়ে যায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন রমজান। বাইকটি চালাচ্ছিল নাবালকটি। বিএসএফ দুজনকেই আটক করে। তাদের কাছে থাকা স্কুল ব্যাগের তল্লাশি নিতেই প্রচুর জালনোট বের হয়। পুলিস সূত্রে খবর, তাদের কাছ থেকে ২ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়েছে। সবগুলি পাঁচশো টাকার নোট।
তৎক্ষণাৎ দু’জনকে হেফাজতে নেয় বিএসএফ। জালনোট সহ তাদের আনা হয় দৌলতপুর বিওপি ক্যাম্পে। বুধবার রাতেই ধৃতদের বৈষ্ণবনগর থানার হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। বৈষ্ণবনগর থানার আইসি বিপ্লব হালদার জানিয়েছেন, বিএসএফ দু’জন জালনোট পাচারকারীকে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে। বিএসএফের তরফে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আমরা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নাবালক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দু’জন কোথা থেকে এই জালনোটগুলি পেল এবং কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আইসি জানিয়েছেন।
জাল নোটের সঙ্গে নাবালক ও প্রতিবন্ধী ধরা পড়ায় চিন্তা বেড়েছে বিএসএফ ও পুলিস প্রশাসনে। সন্দেহ এড়াতে জালনোট পাচার করতে কাজে লাগানো হচ্ছে কমবয়সী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের। বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, আমাদের কাছে বহুদিন ধরেই খবর ছিল। কিন্তু হাতেনাতে ধরতে পারিনি।
কিন্তু নাবালকরা কীভাবে পাচারে জড়িয়ে পড়ছে? অবাক ধৃত নাবালকের বাবাও। তিনি বলেন, বিকেলে ছেলে বলেছিল বন্ধুর সঙ্গে গঙ্গার ঘাটে যাচ্ছি। তবে রাত পর্যন্ত বাড়ি ফেরেনি। রাতে দৌলতপুর বিএসএফ ক্যাম্প থেকে ফোন পেয়ে জানতে পারি ছেলের কুকর্মের কথা। নাবালকের বাবার দাবি, ছেলেকে কেউ বা কারা প্রলোভন দিয়ে ফাঁসিয়েছে।
পুলিস দুজনকেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এই পাচারে আর কারা জড়িত, মূল চক্রী কে তা জানতে তদন্ত চলছে।