• রুটি রুচছে না, চাউমিন চেয়ে গোঁসা ধৃত সঞ্জয়ের
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘আজ রাতের মেনুতে কী আছে?’ জবাবে রুটি‑সব্জি শুনেই মুখ বেজার আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সিভিক সঞ্জয় রায়ের। রোজ রাতে একই মেনু। একটু স্বাদ না বদলালে আর চলছে না। উপায়ান্তর না দেখে বুধবার জেলকর্মীদের কয়েকজনের কাছে আব্দার করে বসে সঞ্জয়। বেশি কিছু নয়, রাতের খাবারে চাই এগ চাউমিন। স্যালাড সহযোগে। কিন্তু আবেদনই সার। তাতে কর্ণপাত করেনি জেল কর্তৃপক্ষ। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে প্রেসিডেন্সি জেলের অন্য বন্দিদের মতো ওই বিচারাধীন বন্দির সেলেও পৌঁছে যায় রুটি-সব্জি। এত অনুরোধের পরেও চিড়ে ভেজেনি দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ ধর্ষণ ও খুনের মামলার অভিযুক্ত সঞ্জয়।

    জেল সূত্রের খবর, ওই খাবার দেখেই রাগে গজগজ করতে থাকে সঞ্জয়। বিরক্তি সহকারে থালা ঠেলে সরিয়ে দিয়ে সেলের মধ্যে পায়চারি শুরু করে দেয়। বিড়বিড় করে বলতে থাকে, ‘এই সমস্ত খাবার খাওয়া যায়? মোটা রুটি, একই তরকারি...ধুর। রোজ রোজ একই খাবার খেতে ভালো লাগে!’ বেশ কিছুক্ষণ পায়চারির পর সেলের মধ্যে গা এলিয়ে দেয় সে। ঩জেলকর্মীরা তাকে খেয়ে নেওয়ার জন্য কয়েকবার ডাকেন। কিন্তু তা কানে তোলেনি সঞ্জয়। একসময় কিছুটা উত্তেজিত হয়ে সে বলে, ‘এগ চাউমিন খাব বলে একটু আব্দার করেছিলাম। কিন্তু আমার কথায় কোনও পাত্তাই দিল না!’ একথা শুনে জেলকর্মীরা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পাল্টা বলেন, ‘আমাদের কাছে সব বন্দিই সমান। তাই সবাই যা খাবার খাবে, আপনাকেও তা খেতে হবে। আপনি কোনও লাটসাহেবের নাতি নন।’ সঞ্জয়ের মুখের উপর জবাব দিয়ে ওই বন্দির সেল ছাড়েন জেলকর্মীরা। 

    জেল সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্সির যে সেলে সঞ্জয়কে রাখা হয়েছে, সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পালা করে সেলের সামনে পাহারা দিচ্ছে রক্ষীরা। ধর্ষণ ও খুনের মামলার অভিযুক্ত সঞ্জয় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে, তার জন্যই এই সতর্কতা। 

    শুধু খাবার নিয়েই নয়, আর জি কর মামলায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও বেজায় চটে সঞ্জয়। জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার সকালে সে আচমকা সেলের রক্ষীদের বলে, ‘রোজ আমাকে নিয়ে সমস্ত মিডিয়া ভূরি ভূরি মিথ্যা কথা বলেই চলেছে। এটা কি ঠিক হচ্ছে?’ এর পরেই খবরের কাগজ পড়তে চায় সঞ্জয়। সূত্রের খবর, কাগজে আর জি কর কাণ্ডের যাবতীয় খবর খুঁটিয়ে পড়ার পর আর কারও সঙ্গে কোনও কথা বলেনি সে। চুপ করে সেলের এক কোণায় বসেছিল দীর্ঘক্ষণ।
  • Link to this news (বর্তমান)