• রাজ্যপালকে বরখাস্ত করুন, শাহের কাছে দাবি তৃণমূলের
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘নারী নির্যাতনের’ মতো স্পর্শকাতর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। তারপরও তাঁকে কেন ‘বদল’ করা হল না? এই প্রশ্নটা গত ১৬ আগস্টই তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় দোষীর ফাঁসির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মিছিল করেছিলেন কলকাতার রাজপথে। সেই মিছিল শেষে তিনি নিশানা করেন রাজ্যপালকে। এই প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার ফের তাঁকে সরানোর দাবি তুলল রাজ্যের শাসকদল। এদিন বিকেলে আচমকা দিল্লি ছুটেছেন সি ভি আনন্দ বোস। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই এই সফর। আর ঠিক তখনই তৃণমূলের তরফে শাহের কাছে দাবি জানানো হল, বরখাস্ত করা হোক পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধানকে।

    গত ২ মে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মচারী। শুধু পুলিসে অভিযোগ জানানোই নয়, সুবিচারের জন্য তিনি দ্বারস্থ হন দেশের শীর্ষ আদালতের। গত ৩ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন ‘নির্যাতিতা’। এমনকী, রাজ্যপালকে দেওয়া সাংবিধানিক রক্ষাকবচ নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় সরব হয়েছিলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘রাজভবনের ওই মহিলা কর্মী বিচার পাননি। ট্রমা অবস্থায় ছিলেন। তাঁকে রাজভবন থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়ে আমরা চাকরি দিয়েছি, থাকবার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।’ তারপরেই এদিন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করলেন, ‘যাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ, সেই সি ভি আনন্দ বোসকে রাজ্যপাল পদ থেকে অবিলম্বে বরখাস্ত করুন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিত রাজ্যপালকে আইন এবং বিচারের মুখে ফেলে দেওয়া।’

    এদিন সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সি ভি আনন্দ বোসকে তড়িঘড়ি ডেকে পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগে দুপুরে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির বর্তমান ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। তারপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-রাজ্যপাল বৈঠকের আগে তৃণমূলের তরফে ‘চাপ’ বাড়ানো হল কেন্দ্রের উপর। এদিন অমিত শাহকে খোঁচা দিয়েছেন মমতাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘অভিনন্দন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! আপনার ছেলে রাজনীতিবিদ হননি, কিন্তু আইসিসি চেয়ারম্যান হয়ে গিয়েছেন। এটি রাজনীতিবিদের থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)