নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: স্নান করার জন্য বাড়ি লাগোয়া কলের পাশে বসেছিলেন প্রৌঢ়। পাশের নির্মীয়মাণ বহুতলের উপর থেকে ইট এসে মাথায় পড়ে গুরুতর জখম হলেন দক্ষিণ দমদমের ওই বাসিন্দা। পুলিস জানিয়েছে, জখম ব্যক্তির নাম মানস বন্দ্যোপাধ্যায় (৫০)। তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি ভেন্টিলেশনে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন। নাগেরবাজার থানায় প্রোমোটার বিপ্লব দে’র নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসবাবুর বাড়ি দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর তানোয়ার কলোনি। তিনি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তা কর্মীর কাজ করেন। বাড়ি লাগোয়া রাস্তার উল্টো দিকে একটি আটতলা বাড়ি তৈরি হচ্ছে। বছর দুয়েক ধরে এই বহুতল নির্মাণের কাজ দফায় দফায় হচ্ছে। বুধবার সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ির দেওয়াল লাগোয়া ট্যাপ কলের পাশে স্নান করার জন্য বসেছিলেন মানসবাবু। ওই সময় ছ’তলার উপর থেকে একটি ইট সরাসরি তাঁর মাথায় এসে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ দত্ত ও ফুলু মণ্ডল বলেন, সুরক্ষাবিধি ছাড়াই বাড়ির কাজ করা হচ্ছিল। বহুবার বলেও লাভ হয়নি। তাঁদের আরও অভিযোগ, নির্মীয়মাণ বাড়িতে ১৪৪ ধারার নোটিস লাগানো রয়েছ। তারপরও কী করে কাজ হতে পারে? উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে উত্তর দমদমে নির্মীয়মাণ বাড়ির দেওয়াল ভেঙে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল। তারপরও পুরসভা ও প্রশাসন যে শিক্ষা নেয়নি দক্ষিণ দমদমের ঘটনা তার বড় প্রমাণ। বিপ্লব দে’কে ফোন করা হলে, দেখা যায় তাঁর মোবাইল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলার দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা মানসবাবুর পরিবারের পাশে রয়েছি।