• হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বেআইনি দোকান, হকার দৌরাত্ম্য, আর জি করে কর্মবিরতি
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: যত দিন যাচ্ছে বারাসত হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে সমানতালে বেড়ে যাচ্ছে হকারদের সংখ্যাও। এর ফলে রোগীর পরিবারদের প্রবল সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স বা চারচাকা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা কষ্টকর। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


    এক সময় বারাসত হাসপাতাল ছিল জেলা হাসপাতাল। বর্তমানে সেটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আউটডোরে রোগীর চাপ যথেষ্ট বেশি থাকে। প্রতিদিন ৮০০ জনের মতো রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। তাছাড়া ইমারজেন্সি চিকিৎসারও চাপ আছে। ফলে হাসপাতাল চত্বরে রোগী আনা নেওয়ার গাড়ির সংখ্যা থাকে বেশি। অথচ হাসপাতালের মূল দরজা থেকে ইমারজেন্সি পর্যন্ত একাধিক হকার জায়গা দখল করে থাকেন। কোথাও বিক্রি হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। কোথাও বিক্রি হয় খাবার। কেউ খোলা আকাশের নীচে কেউ ত্রিপল টাঙিয়ে পসরা নিয়ে বসেন। দিনের পর দিন সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ। রাজ্যের সর্বত্র সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। ফুটপাত থেকে সরানো হচ্ছে হকারদের। তারপরও বারাসত জেলা হাসপাতালে ছবিটা একেবারে উল্টো। 


    হাড়োয়া থেকে আসা এক রোগীর পরিবারের সদস্য সামসুল রহমান বলেন, ‘হাসপাতালের সামনের জায়গা ক্রমশ দখল হচ্ছে। ছোট হয়ে গিয়েছে রাস্তা। গুমটি করে খাবারের দোকান তৈরি হয়েছে। চলাফেরার ক্ষেত্রে খুব সমস্যা হচ্ছে আমাদের। ইমারজেন্সির সামনের অবস্থা আরও খারাপ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’ আর এক রোগীর পরিবারের সদস্য সার্থক দাস বলেন, ‘বৃষ্টির সময় যা অবস্থা হয় সাধারণ মানুষের যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর। সরকারিভাবে ফুটপাতের রাস্তা দখলমুক্ত করা হলেও হাসপাতালের ক্ষেত্রে তা হয় নি। স্থায়ীভাবে এক জায়গায় ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়া হোক, তাহলে তো সমস্যার সমাধান হতে পারে।’ হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘কেউ স্থায়ীভাবে দোকান তৈরি করে নেই। ঘুরে ঘুরে কিছু ছোট ব্যবসায়ী জিনিসপত্র বিক্রি করেন। এতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবুও আমরা বিষয়টি দেখছি।’
  • Link to this news (বর্তমান)