• মগরায় গভীর রাতে গুলিবিদ্ধ মাটি ব্যবসায়ী ও তাঁর সহকারী, চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: হুগলির মগরা থানার চাপারুইতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হলেন দুই ব্যক্তি। এই ঘটনায় হুগলি গ্রামীণ পুলিস এলাকায় চাঞ্চল্য‌ ছ঩ড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে। জখম দু’জনের মধ্যে একজনকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যজন ভর্তি চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম দু’জন মগরার বাসিন্দা। তাঁরা মাটি-ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ফলে, এই ঘটনায় মাটি মাফিয়াদের যোগ থাকার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখমদের মধ্যে একজন অতীতে রাজ্যের শাসকদলের সমর্থক ছিলেন। পরে তিনি শিবির বদলে বিরোধী দলে যোগ দেন। সম্প্রতি তিনি ফের শাসক শিবিরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিলেন।


    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জখমদের একজনের নাম বিশ্বনাথ দে। বছর চল্লিশের ওই যুবকের ব্যবসায় সহকারী হিসেবে কাজ করেন মইদুল ইসলাম। বছর পঁয়ত্রিশের মইদুল ঘটনার সময় বিশ্বনাথের সঙ্গেই ছিলেন। গুলি লেগেছে তাঁর পায়ে। বিশ্বনাথের পেট সহ শরীরে দু’টি জায়গায় গুলি লেগেছে। তাঁকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হুগলি গ্রামীণ পুলিসের অতিরিক্ত সুপার কল্যাণ সরকার বলেন, কী কারণে গুলি চলেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। বিশ্বনাথের মা সবিতা দে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে ছেলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানতে পারি। বউমা ও সন্তানদের নিয়ে আলাদা থাকে ছেলে। ও মাটির কারবার করে। কেন ওকে গুলি করা হল, তা পুলিস খতিয়ে দেখুক। আগে শুনেছিলাম ও তৃণমূল করত। বর্তমানে কী করে জানি না’। 


    তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তথা চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, কে কোন দল করত বা করে, সেটা প্রাসঙ্গিক নয়। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে, পুলিস নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে, সে যেই হোক।


    পুলিস ও অন্যান্য সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে বিশ্বনাথ ও তাঁর সহকারী মইদুল বাইক নিয়ে পাণ্ডুয়া থেকে মগরার দিকে যাচ্ছিলেন। নাকশা মোড়ের কাছ থেকে একটি চারচাকার গাড়ি তাঁদের পিছু নেয়। চাপারুইয়ের কাছে কিছুটা নির্জন জায়গায় এসে গাড়ি থেকে দুষ্কৃতীরা বিশ্বনাথকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। তারপর পালিয়ে যায়। গুলির শব্দে স্থানীয়রা ছুটে এসে দু’জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে তাঁদের চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটি কারবারের সঙ্গে যুক্ত বিশ্বনাথ প্রায় একমাস এলাকায় ছিলেন না। দু’দিন আগেই তিনি মগরায় ফেরেন। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে মদ্যপ অবস্থায় মগরার জয়পুরের একটি কালভার্টের কাছে দেখা গিয়েছিল। এই সব তথ্যও খতিয়ে দেখছে পুলিস। 
  • Link to this news (বর্তমান)