• গত ১০ বছর ধরেই জমা জলে ভোগান্তি বাসিন্দাদের, বালি-জগছা ব্লকে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান জলে ডুবে যায় বালি-জগাছা ব্লকের চামরাইল পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম। এক বা দু’বছর নয়, গত ১০ বছর ধরেই এই ভোগান্তি সহ্য করছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বহুবার দরবার করলেও বাসিন্দারা সুরাহা পাননি বলে অভিযোগ। অবশেষে বৃহস্পতিবার সহ্যের বাঁধ ভেঙে কয়েকশো গ্রামবাসী বিডিও অফিস ঘেরাও করেন। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। এমনকী, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও সদস্যদের ঘিরেও চলতে থাকে বিক্ষোভ। শেষে লিলুয়া থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রশাসনিক পর্যায়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত নিকাশি সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।  চামরাইল পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম মূলত নিচু এলাকায় হওয়ার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই হু হু করে জল ঢুকতে থাকে এলাকায়। বাড়ির ভিতরেও ঢুকে পড়ে জল। অভিযোগ, দিনের পর দিন জমে থাকে সেই জল। ফলে নিত্য ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। গ্রামে বাড়ছে ডায়ারিয়া ও চর্মরোগের সমস্যা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের অনুমতি ছাড়াই এলাকায় ছোট ছোট কারখানা গড়ে উঠেছে। এই এলাকার খালটি সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়েছে। বুজিয়ে ফেলা হয়েছে একাধিক জলাশয়। স্বাভাবিকভাবেই জমা জল বেরনোর কোনও জায়গা নেই। এদিন দুপুরে নিকাশি সমস্যা নিয়ে বিডিওর সঙ্গে চামরাইল পঞ্চায়েতের প্রধান ও অন্যান্য সদস্যদের বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বিডিও অফিস চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন প্রায় ৩০০ গ্রামবাসী। নজরুল মল্লিক নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘নিচু এলাকা ভরাট করে বেআইনিভাবে কারখানাগুলি তৈরি করা হচ্ছে। ফলে বৃষ্টির জল গ্রামে ঢুকছে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের বহুবার অভিযোগ জানিয়েছি। পঞ্চায়েত ও ব্লক অফিসেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই বিক্ষোভ দেখিয়েছি’। 


    গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে চামরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সমীরণ আটা বেআইনি কারখানা নির্মাণের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কারখানা তৈরির সময় কেউই পঞ্চায়েতের অনুমতি নিচ্ছে না। সেকারণেই জমা জলের সমস্যা বাড়ছে। এ বিষয়ে বিডিওর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করছি সমাধান সূত্র বের হবে’। বালি-জগাছার বিডিও সঞ্জয়কুমার গুছাইত বলেন, ‘চামরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সমস্যার কথা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি’।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)