সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : কলকাতায় রাজপথ অবরোধ হয় মাঝেমধ্যেই। দাবি আদায়ে জাতীয় সড়কও অবরোধ করেন অনেকে। তবে জলপথ অবরোধ সাধারণত শোনা যায় না। এবার মৎসজীবীরা দাবি আদায় করতে করলেন জলপথ অবরোধ। নদীতে একের পর এক ডিঙি নৌকা দাঁড় করিয়ে চলল অবরোধ। বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার পাথরপ্রতিমার চুলকাটি ক্যাম্পে ডেপুটেশন ও অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল ‘সাউথ সুন্দরবন মৎস্যজীবী ও মৎস্য কর্মচারি ইউনিয়ন’। কয়েকশো মৎস্যজীবী ডেপুটেশনে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ক্যাম্পের বিট অফিসার তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। ফলে জলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। দুপুরবেলা প্রায় এক ঘন্টা জলযান দাঁড় করিয়ে অবরোধ চালান।
কর্মচারি ইউনিয়নের সহ সভাপতি অমল সাউ বলেন, ‘মৎস্যজীবীরা অত্যাচারিত। তাঁদের অধিকারের দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল। সুন্দরবনের নদী ও খাঁড়িতে মাছ ও কাঁকড়া ধরার অধিকার বহাল রাখা, যে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরা বন্ধ করা হয়েছে তাঁদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করা, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বাঘ, কুমির, হিংস্র জন্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত মৎস্যজীবী পরিবারের চাকরির ব্যবস্থা করা, বনদপ্তরের অত্যাচার, হয়রানি ও জরিমানা নেওয়া বন্ধ করা সহ বিভিন্ন দাবিতে এই ডেপুটেশন।’ নামখানা, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকশো মৎস্যজীবী এসেছিলেন কর্মসূচিতে যোগ দিতে। অভিযোগ, বিট অফিসার দরজায় তালা লাগিয়ে ভিতরে বসেছিলেন। কিন্তু মৎস্যজীবীদের সঙ্গে তিনি দেখা করেননি। অথচ ডেপুটেশন দেওয়ার বিষয়টি আগে থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল।
তা সত্ত্বেও অফিসার দেখা করেননি। এর প্রতিবাদে মৎস্যজীবীরা ডিঙি নৌকা নদীতে পরপর দাঁড় করিয়ে জলপথ অবরোধ করেন। আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি। অমলবাবু বলেন, ‘চার সেপ্টেম্বর সুন্দরবনের সব বনদপ্তরের অফিসে ও ক্যাম্পে ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’