এই সময়, মেদিনীপুর: আরজি কর কাণ্ডের জেরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে কর্মবিরতির মধ্যে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ালেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের এক সদস্য-সহ বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে প্রথমে বৈঠক করেন তাঁরা।অভিযোগ, অধ্যক্ষ দাবি না মানায় তাঁর ঘরের সামনে বিক্ষোভে বসে পড়েন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তাঁদের অভিযোগ, কিছুদিন ধরে জুনিয়র ডাক্তার এবং পড়ুয়াদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিলেন ওই ছাত্র নেতা। ক্লাসরুম থেকে শিক্ষক বেরিয়ে যাওয়ার পরে দরজা বন্ধ করে পড়ুয়াদের হুমকি দিতেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকে টার্গেট করে ভয় দেখানো হতো।
আন্দোলনকারী এক পড়ুয়া বলেন, ‘আমার শুধু নয়, সকলেরই এক অভিজ্ঞতা। ওই ছাত্রনেতা নিজেকে মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের হেড বলে দাবি করে নানা ভাবে অত্যাচার করতেন। তিন বছর আগে এখান থেকে পাশ আউট হলেও এখনও হস্টেলের রুম তিনি দখল করে রেখেছেন।
মাঝে মধ্যে এসে হুমকি দিয়ে বলতেন, স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত গেলেও তোরা আমার কিছু করতে পারবি না।’ আর এক ডাক্তারি পড়ুয়া বলেন, ‘কয়েক মাস আগে হলঘর অন্ধকার করে এক ছাত্রকে স্টেজে তুলে তাঁর মুখে সব আলো ফেলে অত্যাচার করা হয়।’ অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে একাধিক বার ফোন করেও তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ করলেও উত্তর দেননি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘কিছু অভিযোগ এসেছে। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে আরও সিসি টিভি ক্যামেরা লাগানো হবে।’