এই সময়: আরজি করের ঘটনার জেরে আজ, শুক্রবার উত্তপ্ত হতে পারে কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনও। বিভিন্ন বিভাগীয় আধিকারিক এবং পুরসভার সাধারণ কর্মীদের মধ্যে এ নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনভরই গুঞ্জন চলেছে। অধিবেশনে আরজি কর নিয়ে অস্বস্তি এড়াতে শাসকদলও অবশ্য প্রস্তুত। অধিবেশনে কোনও ভাবে আরজি কর প্রসঙ্গ উঠলে রাজনৈতিক ভাবেই তা প্রতিহত করার কৌশল নিতে চলেছে তারা।শাসক-শিবিরের একাধিক কাউন্সিলারের বক্তব্য, আরজি কর হাসপাতাল পুর-পরিষেবার আওতাধীন নয়। পুর-অধিবেশনে আলোচনা হয় জল, রাস্তা, আলো, বর্জ্য-সাফাই, নিকাশি, বিল্ডিং এবং রাজস্ব আদায় নিয়ে। তাই মাসিক অধিবেশনে আরজি করের প্রসঙ্গ যদি বিরোধী কাউন্সিলরারা কোনও ভাবে তোলার চেষ্টা করেন তা খানিকটা অপ্রাসঙ্গিকই হবে।
তবে পুরসভার সাধারণ কর্মী এবং আধিকারিকদের অনেকেই মনে করছেন, যে ভাবেই হোক শুক্রবারের অধিবেশনে আরজি কর প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির কাউন্সলিরারা ক্ষমতাসীন বোর্ডকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা করতে পারেন। বিশেষ করে তাঁদের নজরে রয়েছেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষ।
বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন বোর্ডকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন সজল। পুর-রাজনীতিতে কার্যত বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। বুধবার বিজেপির বন্ধের দিনেও শিয়ালদহের রাস্তায় সজল সরাসরি তৃণমূলকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান। পুলিশ তাঁকে আটকও করেছিল। সজলের কথায়, ‘আমি ময়দান ছেড়ে পালানোর ছেলে নয়। শুক্রবার পুর-অধিবেশনে যোগ দিতে যাব।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাসকদলের একাধিক কাউন্সিলার জানান, শহরের পরিষেবা আর উন্নয়নের প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে পুর-অধিবেশনে যদি অহেতুক কোনও রাজনীতির চেষ্টা হয়, তার জবাব রাজনৈতিক ভাবেই দেওয়া হবে।