• আরজি করের ভাইরাল ফোন কলের অপর কণ্ঠস্বর তাঁর? নিহত চিকিৎসকের বাবা 'ঘুরিয়ে' বললেন…
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • ৯ অগস্ট। আরজি করের ইমারজেন্সি ভবনের চারতলা থেকে উদ্ধার করা হয় তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। সেদিনই নাকি খুন হওয়া চিকিৎসকের বাবাকে ফোন করে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছিলেন হাসপাতালের সহকারী সুপার। সেই ফোনালাপের অডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভাইরাল অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে খবরের চ্যানেলে চ্যানেলে এখন সেই অডিয়ো ক্লিপ শোনানো হচ্ছে। এই আবহে নির্যাতিতার বাবার থেকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল গতকাল। আর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে তিনি বললেন, 'কোথা থেকে কী ভাবে ভাইরাল হয়েছে এটা আমরা জানি না। আমরা এর দায় নেব না।'

    এদিকে ভাইরাল হওয়া সেই ফোনের কথোপকথনের অপর কণ্ঠস্বর কি তাঁর? এই প্রশ্নের জবাবে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা বললেন, 'আপনারা বলছেন বটে, তবে আমি দেখিনি। অবশ্য এই বিষয়টি তদন্তে কোনও প্রভাব ফেলবে না।' উল্লেখ্য, নির্যাতিতার বাবা মা, দাবি করেছিলেন ঘটনার পর তাঁদের কাছে আসে দুটি ফোন। প্রথম ফোনে বলা হয়েছিল ‘আপনাদের মেয়ে অসুস্থ’। পরের ফোনে বলা হয়, ‘আপনার মেয়ে সুইসাইড করেছে’। এবার সেই ফোন কলের অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হতে শুরু করেছে। এদিকে ভাইরাল হওয়া ফোনের অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে মুখ খুলেছে কলকাতা পুলিশও। সেই ভাইরাল অডিয়ো প্রসঙ্গে পুলিশ কর্তার বক্তব্য, পুলিশ যে নির্যাতিতার পরিবারকে কোনও ভুল তথ্য দেয়নি, এই ভাইরাল অডিয়োই তার প্রমাণ।

    এদিকে সিবিআই-এর ওপর এখনও তাঁদের ভরসা আছে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর কথায়, 'আমরা কোর্টের কাছে একটি ভালো এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য আবেদন রেখেছিলাম। পুলিশের উপর আমাদের ভরসা নেই বলেই ভালো এজেন্সি চেয়েছিলাম। আদালত সেখানে সিবিআই তদন্তের কথা জানিয়েছে। সেই কারণে তাদের উপর আমাদের ভরসা রাখতে হচ্ছে।' তবে এতদিন ধরে সন্দীপ ঘোষকে টানা জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু এই খুনের মামলায় অন্য কাউকেই আর গ্রেফতার করেনি সিবিআই। সেই প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয়েছিল চিকিৎসকের বাবাকে। তা নিয়ে তিনি শুধু বলেন, 'হয়তো আরো প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করছেন।'

    অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণ বিরোধী বিল আনতে চলেছে বিধানসভায়। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল নির্যাতিতার বাবাকে। সেই প্রসঙ্গে নিয়ে তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিকভাবে যদি করতে চান উনি করতেই পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটাই দাবি ছিল যে আমরা যেন বিচার পাই। কিন্তু পুলিশের কর্মকাণ্ড থেকে আমরা ভরসা রাখতে পারেনি। যার জন্য আমরা সিবিআই দাবি করেছিলাম।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)