• ঘটনার দিন কী করছিলেন সন্দীপ? CBI- জেরায় চাঞ্চল্যকর দাবি...
    ২৪ ঘন্টা | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • পিয়ালি মিত্র: লাগাতার সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞেসাবাদ সিবিআইয়ের। কখনও ১১ ঘণ্টা, কখনও ৯ ঘণ্টা সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু এত কী জানতে চাওয়া হচ্ছে তাঁর কাছ থেকে? পলিগ্রাফ টেস্ট হয়ে গিয়েছে সন্দীপের। তারপরেও তলব সন্দীপকে। কোনও যোগসূত্র কী আদৌ পেয়েছে সিবিআই? নাকি এখনও অন্ধকারেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা? ঘটনার দিন সম্পর্কে কী বলছেন সন্দীপ? 

    আরজি করের তরুণী চিকিত্সক ধর্ষণ ও খুনের তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। তারপর ১৪ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কোনও গ্রেফতার নেই। কোনও ক্লু নেই। সূত্রের দাবি, সন্দীপ তদন্তকারীদের বলেন, 'সকাল ১০ টা নাগাদ তিনি বাড়িতে ছিলেন। স্নান করছিলেন। সেই সময়ে হাসপাতালের তরফে সুমিতা রায় তপাদার তাঁকে ফোন করেন। তিনি তখন স্নান করছিলেন। ফলে কল মিসড হয়। পরে তিনি কল ব্যাক করে।'

    আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আরও বলে, সুমিতা তাঁকে দেহ উদ্ধারের কথা জানান। কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতালে রওনা দেন তিনি। হাসপাতালে যেতে ওসি টালা, অ্যাডিশনাল এমএসভিপিকে ফোন করে। ওসি টালার ফোন পেয়ে তাঁকে ঘটনাস্থল সিকিউর করতে বলেন। সেই সঙ্গে কল করেন সুদীপ্ত রায়, চেষ্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকেও। সকাল এগারোটা নাগাদ তিনি পৌঁছন। 

    তাঁর বয়ান মিলিয়ে দেখতে সিবিআই জিজ্ঞেসাবাদ করেন তাঁর গাড়ির চালককেও। কিন্তু ঘটনার পরবর্তী সময়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে এখনও একাধিক জায়গায় ধোঁয়াশা রয়েছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। সম্প্রতি সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেখান থেকে বেশকিছু নথিপত্র নিয়ে এসেছে সিবিআই। তার পরেও তাকে তলব করেছে সিবিআই। ওই তরুণী চিকিত্সকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছিল। তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। মৃত চিকিত্সকের বাবা-মাও প্রশ্ন তুলছেন কেন আর কেউ গ্রেফতার হল না। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)