‘পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো…’, সোশাল মিডিয়ায় পালটা স্লোগান পুলিশ আধিকারিকদের
প্রতিদিন | ৩০ আগস্ট ২০২৪
ধীমান রায়, কাটোয়া: আর জি কর কাণ্ডের জেরে দিনভর সোশাল মিডিয়ায় পুলিশকে নিশানা করছে আমজনতা। একের পর এক স্লোগানে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পালটা দিলেন পুলিশকর্মীরা। সোশাল মিডিয়া ছয়লাপ পুলিশের পালটা স্লোগান, “পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো, সে লড়াই করেই হচ্ছে বড়।”
আর জি কাণ্ডে সাধারণ মানুষের চোখে একপ্রকার ‘ভিলেন’ পুলিশ। পুলিশকে কটাক্ষ করে স্লোগান তোলা হচ্ছে, “পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়ে হচ্ছে বড়।” আর জি কর ইস্যুতে লাগাতার এই ধরনের বাক্যবাণ ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে পুলিশ মহলে। তাই এবার পালটা দিতে সমাজ মাধ্যমেই সুর চড়াচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। আমজনতা স্লোগান তুলেছিল, “পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়ো।” পালটা দিয়ে পুলিশের পোস্ট, “পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো, সে লড়াই করেই হচ্ছে বড়।” এবার এই ‘স্লোগান যুদ্ধে’ সরগরম ভারচুয়াল দুনিয়া।
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার এক আধিকারিক সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় চাঁচাছোলা ভাষায় সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “হ্যাঁ আমিই সেই পুলিশ। যাকে তোমরা বিভিন্ন গালগল্পে ভাঁড়, মাতাল, চরিত্রহীন বলে দাগিয়ে দাও, আবার প্রয়োজনে চুপি চুপি এসে বলো, একটু প্রবলেমে পড়েছি। একটু দেখিস ভাই…! পুলিশের মেয়ের ভাবনাটা তার বাবা মায়ের উপরেই ছেড়ে দাও। তার বাবাকে দেখে সে হুমকির মোকাবিলা করতে সে শিখে ফেলেছে।”
বস্তুতপক্ষে ”পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়ে হচ্ছে বড়”, আর জি কর কাণ্ডের জেরে বাজারে ‘আমদানি’ হওয়া এই স্লোগানাকে ‘প্রছন্ন হুমকি’ হিসাবেই মনে করছে পুলিশ মহল। আরেক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “আমরাও এই সমাজের মানুষ, আমাদের ঘরেও মেয়ে আছে। কিন্তু নির্দিষ্ট একটি পেশার মানুষদের প্রতি এই ধরনের আক্রমণ, হুমকি আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের তো বটেই, আমাদের পরিবারের উপর ভীষণ মানসিক চাপ পড়ছে।”