সোমনাথ রায় ও নিরুফা খাতুন: ‘শান্তিপূর্ণ’ নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নোটিস জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের। ২ সপ্তাহের মধ্যে অ্যাকশান টেকেন রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল বাংলা। নিজেদের মতো করে প্রতিবাদে সরব সবমহল। গতমঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। কর্মসূচি ঘিরে অশান্তি তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় শহর ও সংলগ্ন এলাকা। নবান্নে পৌঁছনোর বিভিন্ন রাস্তা ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় জলকামান, কাঁদানে গ্যাস। এই অভিযানে আহত হন বহু ছাত্র। অশান্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় কমবেশি ২০০ জনকে।
জানা গিয়েছে, ‘শান্তিপূর্ণ’ নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচার ও অন্যায়ভাবে ছাত্রদের গ্রেপ্তার করার অভিযোগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয় একজন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নোটিস পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ২ সপ্তাহের মধ্যে অ্যাকশান টেকেন রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, নবান্ন অভিযানে আক্রান্ত হয়েছিলেন পুলিশকর্মীরাও। পরবর্তীতে পুলিশের তরফে বলা হয়, এই অভিযানে ছাত্রদের পাশাপাশি অন্যকেউ ছিল। ছাত্রদের তরফে এহেন হামলা করা সম্ভব নয়।