২ নাবালিকাকে কোপ মত্ত যুবকের, গণপিটুনিতে মৃত্যু অভিযুক্তের
এই সময় | ৩০ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ চলছে রাজ্য জুড়ে। মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। এর মাঝেই ফের ২ নাবালিকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঝাড়গ্রামে। অভিযুক্ত যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। ভয়ঙ্কর ঘটনা ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানা এলাকায়।জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের বেলায় ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানার অন্তর্গত কেশরীপুর গ্রামে হঠাৎ কুড়ুল নিয়ে একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে এক মত্ত যুবক। ঘরে ঢুকে নাবালিকাদের উপর এলোপাথাড়ি কুড়ুল দিতে কোপ মারার অভিযোগ ওই প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে । ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ নাবালিকা সহ তিন জন। অপরদিকে, উত্তেজিত গ্রামবাসীর হাতে মার খেয়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃত যুবকের নাম সনাতন হাঁসদা ওরফে রাহুল (৩২)।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ন'টার সময় ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত যুবকটি সম্পর্কে ওই নাবালিকাদের মামা হয় বলে জানা গিয়েছে। কুড়ুল নিয়ে ওই যুবক হঠাৎ করেই নাবালিকাদের ঘরে ঢুকে পড়ে। সেই সময় দু'জন নাবালিকা-সহ তাদের মা বাড়িতে ছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথাড়ি কুড়ুল দিয়ে কোপ মারতে শুরু করে মত্ত যুবক। চিৎকার শুনে ছুটে আসে গ্রামবাসীরা। বাড়ির দরজা ভেঙে মত্ত যুবককে বাইরে বের করে বেধড়ক মারধর শুরু করেন এলাকার মানুষজন।
অভিযোগ, গ্রামবাসীদের মার খেয়ে মৃত্যু হয় সনাতনের।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সনাতন প্রথমে তাঁর বাড়িতে নিজের বৌদিকে মারধর করার পর নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয়। সেখানেও কুড়ুল দিয়ে দুই নাবালিকার ওপর চড়াও হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জামবনী থানার পুলিশ। দুই নাবালিকা সহ অভিযুক্ত যুবকের বৌদিকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। দুই নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনায় জামবনি থানার পুলিশ মুড়াকাটি গ্রামের বাসিন্দা আদিত্য দিগার নামে এক জনকে গ্রেফতার করে। ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামীম বিশ্বাস বলেন, ‘একজন মত্ত যুবক কুড়ুল নিয়ে এক জনের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। পরবর্তীকালে সেই অভিযুক্ত যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’