২০ টাকার প্রিমিয়ামে ক্ষতিপূরণ ২ লক্ষ টাকা, মুখে হাসি ঝাড়গ্রামের ঝুমার
এই সময় | ৩০ আগস্ট ২০২৪
ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি সহায়তা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় স্বামীর মৃত্যুর পরে দুর্ঘটনাজনিত বিমার ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন স্ত্রী। ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে টালবাহানা করছিলেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। মহিলা অভিযোগ জানান, জেলা আইনি সহায়তা কর্তৃপক্ষের কাছে। ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কর্তৃপক্ষ। দু’পক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতের স্ত্রীর হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেয় বিমা সংস্থা।সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত আঁধারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন প্রবীর জানা। ২০২৩ সালের জুন মাসে মনসা পুজোর দিন বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার সময় তিনি বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। তাঁকে উদ্ধার করে তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তপসিয়া শাখায় প্রবীরবাবুর প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা প্রকল্পের ২০ টাকার প্রিমিয়ামের দুর্ঘটনাজনিত বিমা করা ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের ২ লক্ষ টাকা পেতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে স্ত্রী ঝুমা জানা আবেদন জানান।
মহিলার অভিযোগ ছিল, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে অস্বীকার করে। সেই কারণে চলতি বছরের মার্চ মাসে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি সহায়তা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ঝুমা। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করেন জেলা আইনি সহায়তা কর্তৃপক্ষ। আইনি নোটিস পাঠানো হয় ব্যাঙ্ক এবং ইন্সুরেন্স কর্তৃপক্ষকে।
ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি সহায়তা দফতরের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকার জানান, ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে ঝুমা জানা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে ব্যাঙ্ক ও বিমা কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত টাকা দিতে রাজি হয় ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থা। মহিলার হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিয়েছে বিমা সংস্থা।