• আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে তপ্ত কলকাতা পুরসভা, স্লোগান তুলে ওয়াকআউট বিজেপির
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগে এখন প্রতিবাদের ঝড় বইতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। সব রাজনৈতিক দলই পথে নেমেছে। ফাঁসির দাবি, বিচার চাই এবং উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান শোনা যাচ্ছে সকলের মুখে। এবার কলকাতা পুরসভার অধিবেশনেও আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তোলা হয়। তারপর কলকাতা পুরসভার অধিবেশন ওয়াকআউট করলেন বিজেপি কাউন্সিলররা। পালটা বিজেপিকে তোপ দেগেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

    গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার জেরে গোটা রাজ্যে তুমুল বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে। গর্জে ওঠে চিকিৎসক মহল। অপরাধীর শাস্তির দাবিতে রাজপথে মিছিল নামে। এবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে নানা এলাকার সমস্যা ও কাজের খতিয়ান তুলে ধরার সময় বিচারের দাবিতে সরব হন বিরোধী কাউন্সিলররা। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক, সিপিএম কাউন্সিলর নন্দিতা রায়, বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ, বিজয় ওঝা ওয়াকআউট করেন। তবে মাঝে নীরবতা পালনও হয়। শোকপ্রস্তাবও পাঠ হয়। কিন্তু বিজেপি কাউন্সিলররা দাবি করেন, ‘‌আজকের কলকাতা পুরসভার অধিবেশন আরজি কর হাসপাতালের নিহত মেয়েটির কথা ভেবে মুলতুবি করতে হবে।’‌ যা মানতে চাননি মেয়র বলে অভিযোগ।

    এবার কলকাতা পুরসভায় এখন বিজেপির তিনজন কাউন্সিলর আছেন। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সজল ঘোষ ছাড়াও আছেন ২২ নম্বরের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিজয় ওঝা। অধিবেশন শুরু হতেই ‘আরজি করের বিচার চাই’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। অধিবেশন কক্ষের বাইরে সজল ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সরকার এত নির্লজ্জ, একজন কর্তব্যরত চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব পাঠ করতে এঁরা রাজি নন। এটা কলকাতা পুরসভার ইতিহাসে লজ্জা। আমরা বলেছিলাম, আজ অধিবেশন মুলতুবি করুন। সারা কলকাতার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। সভা আজ মুলতুবি হোক। অন্যদিন এই সভা হোক। কিন্তু তাতে তৃণমূল কংগ্রেস রাজি নয়।’‌

    এছাড়া আজ, শুক্রবার বিরোধীরা চিৎকার করে বেরিয়ে গেলেও সভা হয়। তারপর এই বিষয়ে অ্যাক্টিং চেয়ারপার্সন অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‌আর জি কর হাসপাতালের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। কোনওভাবেই নাগরিক পরিষেবা বন্ধ থাকতে পারে না। সাধারণ মানুষের জন্য জল, আলো, রাস্তার বন্দোবস্ত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ কলকাতা পুরসভা।’‌ আর মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথায়, ‘‌ওঁরা কার কাছে বিচার চাইছেন? তদন্ত করছে সিবিআই। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। তাছাড়া যাঁরা গুজরাটের ধর্ষণকারীদের জেল থেকে ছাড়িয়ে মালা পরিয়ে বরণ করেন এবং উৎসব করেন, তাঁদের প্রতিনিধি হয়ে এখানে নাটক করার কোনও যুক্তি নেই।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)