• আরজি করের প্রতিবাদে এবার দুর্গাপুজোর অনুদান ফেরাল কলকাতার ক্লাব
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর অনুদান ফেরানোর ধারা অব্যাহত রয়েছে। এর প্রতিবাদে আগে হুগলির চারটি ক্লাব দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছিল। সেই তালিকায় এবার নাম জুড়ল কলকাতার একটি ক্লাবের। গার্ডেনরিচের ‘মুদিয়ালি আমরা ক'জন ক্লাব’ আজ শুক্রবার দুর্গা পুজোর অনুদান ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছে। তার জানিয়েছে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার তারা পুজোর সরকারি অনুদান নিচ্ছে না।

    এই ক্লাবের পুজো কমিটির প্রধান হলেন কংগ্রেস নেতা মহম্মদ মুক্তার। ক্লাবের তরফে শুক্রবার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে এবার আমরা অনুদান হিসেবে সরকারের দেওয়া ৮৫ হাজার টাকা আমরা গ্রহণ করছি না। আমরা আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বিচার চাই।’ পুজো কমিটির বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, যে সকল প্রতি বছর মায়ের আগমনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। এ বছর সরকার মাকে আনার জন্য ৮৫ হাজার টাকা দিচ্ছে। অথচ বিসর্জনের জন্য দিচ্ছে ১০ লক্ষ টাকা।’ আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে ক্লাবের তরফে এমন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এর আগে উত্তরপাড়ার তিনটি ক্লাব দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দেয়। সেগুলি হল-শক্তি সঙ্ঘ, আপনাদের দুর্গাপুজো এবং বৌঠান সঙ্ঘ। ইতিমধ্যে এই মর্মে তারা জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে। এরপর কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটিও সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দেয়। পাশপাশি বারাসত কলোনি মোড় অ্যাসোসিয়েশনও অনুদান নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সাগরপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটিও জানিয়েছে তারা সরকারি পুজোর অনুদান নেবে না। দাবি একটাই, অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।

    প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সমাজমাধ্যমে একাধিক ক্লাব অনুদান নেবে না বলে জানিয়েছে। যদিও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সেকথা ঘোষণা করেননি। আবার অনেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদে সরকারি অনুদান না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে অনেক ক্লাব পিছু হঠছে। এবিষয়ে একটি ক্লাবের বক্তব্য, তারাও অনুদান ফেরাতে চায়। অনুদানের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে চায় না। তবে সেরকমটা করলে সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অনুদান না নিলে সেক্ষেত্রে প্রশাশনের তরফে বিদ্যুৎ সংযোগ বা অন্যান্য সরকারি পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। আবার পুরসভাও জঞ্জাল পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকতে পারে অথবা জঞ্জাল পরিষ্কার নাও করতে পারে। সেদিকে তাকিয়েই অনেকেই পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছে। যদিও পুজোর অনুদানের জন্য আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্য সরকারের পোর্টাল খুলবে। তার আগে অনেক ক্লাব এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)