কেন আত্মহত্যার কথা বলেছিলেন, জানালেন RG করের Ex অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ আগস্ট ২০২৪
আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই। হাসপাতালের সেমিনার হলে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর কেন তাঁর পরিবারকে প্রথমে আত্মহত্যার কথা জানানো হয়েছিল? মামলার তদন্তে সেই প্রশ্ন বিভিন্ন সময় ঘুরে ফিরে এসেছে তদন্তকারীদের মাথায়। সুপ্রিম কোর্টও এনিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, ঘটনার পর হাসপাতালের তৎকালীন মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার প্রথম নির্যাতিতার বাড়িতে ফোন করে আত্মহত্যার কথা জানিয়েছিলেন। এবার আরজি করের তৎকালীন সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল সিবিআই।
সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের তৎকালীন মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার দাবি করেছেন, আসলে তিনি ঘাবড়ে গিয়েই আত্মহত্যার কথা বলেছিলেন। তাঁর দাবি, ঘটনার পরেই তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর পান তিনি। তারপর চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান নির্যাতিতার বাড়িতে ফোন করে খবর দিতে বলেন। এর পরেই তিনি সেইমতো নির্যাতিতার বাড়িতে ফোন করেন। তবে বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা রয়েছে তারা সত্যিটা জানলে হয়তো অসুস্থ হয়ে উঠতে পারেন তাই তাঁদের কথা ভেবেই তিনি প্রথমে মৃত চিকিৎসকের অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন। এরপর মেয়ের আত্মহত্যার কথা বলেন। এদিকে, আরজি কর কাণ্ডে কথোপকথনের তিনটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে । অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের দাবি, দেহ উদ্ধারের পরেই হাসপাতালে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর ভিড় জমে ছিল। এছাড়াও আধিকারিকরাও ছিলেন।
মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সিবিআইকে বলেছেন, তিনি এই দিন ঘটনার পর অল্প সময়ের ব্যবধানে ছাত্রীর পরিবারকে দুবার ফোন করেছিলে। তখন তিনি অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন পরিবারকে। কিন্তু, বেশ কিছুক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরেও নির্যাতিতার পরিবার হাসপাতালে না পৌঁছনোয় শেষে তিনি আত্মহত্যার কথা জানিয়েছিলেন। এই অবস্থায় মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের দাবি সত্যি? নাকি এই ঘটনায় তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে? তা খতিয়ে দেখছেন সিবিআই অধিকারিকরা। ফলে এরকম যুক্তির পিছনে অন্য কোনও মাথা রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই।