• পুজো অনুদান ফেরানোর হিড়িক,তার মধ্যেই নারীদের স্বনির্ভরতার থিম নিয়ে আসরে কুণাল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই বাংলার বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে টাকা ফেরানোর কার্যত হিড়িক পড়ে গিয়েছে। অনেকেই টাকা ফেরত দিতে চাইছেন। একাধিক মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটির তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে তারা সরকারি পুজো অনুদান ফিরিয়ে দিতে চান। নেবেন না সরকারের দেওয়া টাকা। তাঁরা পুজো অনুদান নিতে চাইছেন না। এর জেরে অস্বস্তিতে পড়ছে সরকার। তবে এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন কুণাল ঘোষ সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব।

    মহিলাদের স্বনির্ভরতাকে সামনে এনে পুজোর আয়োজনের কথা জানালেন কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, সারা বাংলায় মহিলাদের স্বনির্ভরতা, কর্মসংস্থানের চাবিকাঠি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। সেই মা বোনেদের শিল্পকথা নিয়েই রামমোহন সম্মিলনীর এবারের পুজোর থিম সম্পন্না। সেই পুজোর থিমের উদ্বোধনে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।

    এই পুজোটাকে অনেকে কুণাল ঘোষের পুজোও বলেন। রামমোহন সম্মিলনীর এই পুজোর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই জড়িত কুণাল ঘোষ। এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নানা সামগ্রীকে এই পুজোর থিমের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।

    তবে এই পুজোর থিমের উদ্বোধন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই মহিলা পুজো কমিটিগুলির সরকারি অনুদান ফেরানোর প্রসঙ্গও আসে। সেই প্রসঙ্গে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, দুর্গাপুজো এখন বড় অর্থনীতির বিষয়। ক্রিয়েটিভ ইকোনমি। অনুদান নেব না বললেই হয় না। বহু পরিবার এই অর্থনীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এটা মনে রাখতে হয়।

    এদিকে বীরবাহা হাঁসদা অনুরোধ করেছেন পুজোর কেনাকাটা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর থেকেই সকলে করুন।

    তবে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রীর এই অনুরোধ কতজন শুনবেন তা নিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে।

    তবে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব রামমোহন সম্মিলনী। দুর্গাপুজো শিল্পের কথা বলে, একটা বিকল্প অর্থনীতি। গত বছরের আগের বছর আমাদের থিম ছিল জঙ্গলকন্যা। সেবার আমাদের থিম উদ্বোধন হয়েছিল ঝাড়গ্রামে গিয়ে। গতবারে ছিল মৎস্যকন্যা। আর এবার হচ্ছে সম্মন্না। স্বনির্ভর গোষ্ঠী যেভাবে মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড় করাচ্ছে, এখন সরকার উৎপাদনের পাশাপাশি বিপননেরও সহায়তা করছে। তিনি বলেন নীরবে কাজ করে চলেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। তৃণমূল সরকার এমন একটি দল যেখানে সর্বস্তরে মহিলা। সারা বাংলায় যে মহিলারা চারপাশে রয়েছেন তাঁদের কীভাবে স্বনির্ভর করা যায় তার চেষ্টা করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে। নতুন চাকরি তৈরি হচ্ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)