সেমিনার হলে কারা? ছবি দেখিয়ে প্রমাণ লোপাটের তত্ত্ব খারিজ পুলিশের
এই সময় | ৩১ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের যে সেমিনার হলে মৃত চিকিৎসকের দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে কি বহিরাগতরা প্রবেশ করেছিল? ‘ক্রাইম সিন’-এর বেশ কিছু ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই বিতর্ক শুরু হয়। সেই ছবি ধরে ধরে পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ওই স্থানে কোনও বহিরাগতের প্রবেশ ঘটেনি।শুক্রবার কলকাতা পুলিশের তরফে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি জানান, যেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ে যে দাবি করা হচ্ছে, সেটা ভুয়ো। তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিরাই সেখানে গিয়েছিলেন। সাংবাদিক বৈঠকে দুটি ছবি দেখান ডিসি সেন্ট্রাল। ছবিগুলো দেখিয়ে সেখানে কোন কোন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন সেটা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। ওই জায়গায় কলকাতা পুলিশ কমিশনার, গোয়েন্দা বিভাগের ভিডিয়োগ্রাফার, অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার, ফরেন্সিক বিভাগের সদস্য, টালা থানার পুলিশকর্মী, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞেরা উপস্থিত ছিলেন বলেও জানানো হয়।
ডিসি সেন্ট্রাল বলেন, ‘গত ৯ অগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই পুলিশ ওই জায়গা ঘিরে ফেলেছিল। কোনও ভাবেই সেই অংশে বাইরের লোক ঢুকতে পারেননি।’ সেখানে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে প্রমাণ নষ্ট করার যে দাবি উঠছে বিভিন্ন মাধ্যমে, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে সেমিনার হলের একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন) ছড়িয়ে পড়েছিল সংবাদ মাধ্যমে। সেখানেও দাবি করা হয়েছিল, সেমিনার হলের যে অংশটি থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেই জায়গাটি পুলিশ ঘিরে রাখেনি (কর্ডন করা হয়নি)? সেবারেও পুলিশের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া নিয়েছিল, মৃতদেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়, সেই জায়গাটি ঘিরে দেওয়া হয়। ওই সেমিনার হলের মোট দৈর্ঘ্য ৫১ ফুট এবং প্রস্থ ৩২ ফুট। এর মধ্যে দেহ উদ্ধারের পর ওই ঘরের ৪০ ফুট অংশ পুলিশ ঘিরে ফেলেছিল। বাকি অংশে কিছু লোকজন প্রবেশ করেছিলেন। তবে তাঁরা হাসপতালের কর্মী এবং তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তি, কোনও বহিরাগত নয়। মূল ঘটনাস্থল ‘সুরক্ষিত’ ছিল বলেই দাবি করা হয় পুলিশের তরফে।