• প্রথম চিঠির জবাব মেলেনি, ধর্ষণ বিরোধী আইন আনতে ফের মোদিকে চিঠি মমতার
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ, শুক্রবার ধর্যণ-বিরোধী কড়া আইন আনতে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এক্স হ্যান্ডলে সেই চিঠির ছবি পোস্টও করেছেন তিনি। দেশে মহিলাদের উপর অপরাধের বিরুদ্ধে এবং ধর্ষণ বিরোধী আইন দ্রুত কার্যকর করতে গত ২২ আগস্টই মমতা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। আজকের পাঠানো চিঠিতে প্রথমেই তিনি সেকথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “এইরকম একটি সংবেদনশীল বিষয়ে আগের পাঠানো চিঠির কোনও উত্তর আপনার তরফ থেকে আসেনি।” তবে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীর তরফ থেকে একটি চিঠি তাঁকে পাঠানো হয়েছিল বলে তিনি স্বীকার করেছেন। সেই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণ এবং শিশু নির্যাতনের মামলা পরিচালনার জন্য ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু তার অনেকগুলি আদালত এখনও চালুই হয়নি। আজ মমতা ওই অভিযোগগুলিও কার্যত খণ্ডন করেছেন। তিনি লিখেছেন, “১০টি বিশেষ পকসো আদালত ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার অনুমোদন করেছে। পাশাপাশি, এই মুহূর্তে রাজ্যে ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক এবং ৬২টি পকসো আদালত চালু রয়েছে। এই কোর্টগুলি সম্পূর্ণভাবে রাজ্য সরকারের অর্থ সহায়তাতেই চলছে।”


    প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সি এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই রাজ্য তাথা দেশে ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে এবং দোষীর শাস্তির দাবিতে পথে নামেন চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষজন। এই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। পেশায় তিনি একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে এই ঘটনার প্রথম দিন থেকেই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পরে মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে গেলে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। গোটা ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টেও সমালোচিত হয় পুলিস। কিন্তু এই ঘটনার প্রায় ২০ দিনেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও আর কোনও ব্যক্তিকেই গ্রেপ্তার করেনি সিবিআই। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর এই দ্বিতীয় চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
  • Link to this news (বর্তমান)