ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য ও রমেন দাস: নিজেদের পথে নিজেদের মতে চলা। প্রতিবাদ জারি রেখেও স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে নতুন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার থেকে টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু করতে চলেছেন তাঁরা। রবিবার জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য শিবির করবেন। তার নাম ? অভয়া ক্লিনিক। আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের সুবিচার চেয়ে তাঁকেই যে এই লড়াই উৎসর্গ করা হচ্ছে, ক্লিনিকের নামেই তার প্রমাণ। শুক্রবার নিজেদের নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের তরফে।
আর জি কর (RG Kar Hospital) ইস্যুতে সুবিচার, অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে অনেকদিন ধরেই কর্মবিরতি করছেন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। বার বার প্রশাসন তাঁদের কাছে কাজে ফেরার আবেদন জানালেও, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারীরা। সাফ জানিয়েছেন, তাঁদের সহকর্মীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনার কিনারা না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কোনওভাবেই কাজে ফিরবেন না। কারণ, এটা তাঁদের সকলের সুরক্ষার প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও তাঁদের কাজ শুরু করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে পুরোপুরি কর্মবিরতি (Strike) প্রত্যাহার হয়নি এখনও।
এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিস্তর। সেসবের সমাধানে এবার থেকে টেলিমেডিসিন (Telemedicine) পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার থেকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত এই পরিষেবা পাবেন রোগীরা। উল্লেখ্য, কোভিড (COVID-19) কালে রোগীদের চিকিৎসার স্বার্থে এই টেলিমেডিসিন পদ্ধতি চালু হয়েছিল, যাতে দূর থেকেও সকলে চিকিৎসা পেতে পারেন। ৫ বছর পর তা আবার ফিরল। এছাড়া জুনিয়র ডাক্তাররা রবিবার স্বাস্থ্য শিবির করবেন, যার নাম দিয়েছেন ‘অভয়া ক্লিনিক’।
এদিন আরও বেশ কিছু নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তাঁরা। পুলিশ কমিশনারের (CP) পদত্যাগ চেয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর লালবাজার অভিযানে নামছেন তাঁরা। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর আবেদন, সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ৯টা থেকে ১০টা দেশের সকল বাড়িতে আলো নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালান। পরেরদিন, ৫ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আর জি করে তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়া খুন-ধর্ষণ মামলার শুনানি রয়েছে। আর জি করে আন্দোলনরত আবাসিক চিকিৎসকদের তরফে কিঞ্জল নন্দ জানান, সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগের দিন সকলে মিলে দ্রুত সুবিচারের দাবিতে এই পদক্ষেপ।