সমাজমাধ্যমে পুলিশের পাল্টা স্লোগান, কী বলছে পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি?
এই সময় | ৩১ আগস্ট ২০২৪
‘পুলিশ তুমি যতই মারো, তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়’ এই একটা স্লোগানে ছেয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যম। গত কয়েকদিনে পাল্টা স্লোগানও ঘুরছে নেট নাগরিকদের মধ্যে। ‘পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো, সে লড়াই করে হচ্ছে বড়, হচ্ছে বড় ছেলে তোমার, তার দায়ও কি পুলিশের একার?’ দ্বিতীয় স্লোগানটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে দিচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। স্লোগান নিয়ে অভিনব ঠান্ডা লড়াইয়ের সাক্ষী থাকছে সমাজমাধ্যম।প্রায় পাঁচ দশক আগে প্রয়াত সিপিএম নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙার একটি সমাবেশ থেকে স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘পুলিশ তুমি যতই মারো, মাইনে তোমার একশো বারো।’ পুলিশ সমাজকে কটাক্ষ করে এই স্লোগান বাম কর্মী-সমর্থকদের মুখে মুখে ঘুরতো একটা সময়। আরজি কর কাণ্ড সেই স্লোগান ফের ফিরে এল এই জমানায়। কিছু শব্দ পরিবর্তিত হয়ে। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির আহ্বায়ক বিজিতাশ্ব রাউত।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই এই ছবি ফেসবুকে দিচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। যা একপ্রকার পুলিশের তরফে ‘প্রতিবাদ’ বলেই মনে করা হচ্ছে। বিজিতাশ্ব বলেন, ‘অনেকে কটাক্ষ করছেন পুলিশ কর্মীদের। কেন করছেন তাঁরা বলতে পারবেন। আমরা যাঁরা পুলিশে কাজ করি, তাঁরা জানি কাজটা কী! এই কাজের মাধ্যমে আমরা মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিই। করোনার সময় প্রত্যেক মানুষের কাছে ছুটে গিয়েছে পুলিশ।’ পুলিশের তরফে স্লোগানের ঝড় নিয়ে বলেন, ‘এটা প্রতিবাদ নয়। আমাদের এক সহকর্মীর পাশে দাঁড়ানো। তাঁর সুস্থতা কামনা করছি। পুলিশের চাকরি করি আমরা। সে কারণে সকলে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে মনের জোর বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’
কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন মিছিল ও সামাজিক মাধ্যমে পুলিশকে লক্ষ্য করে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এরপরই গতকাল থেকে পুলিশ কর্মীরা তাঁদের ফেসবুকে স্লোগানের ছবি দিচ্ছেন। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অনেক পুলিশ কর্মীরা ইতিমধ্যেই তাঁদের ফেসবুক প্রোফাইলে সেই ছবি দিয়েছেন। শুধুমাত্র শিলিগুড়ি কমিশনারেট নয়, ঝড়ের গতিতে সেই স্লোগান শেয়ার হয়েছে অন্যান্য কমিশনারেট-এর পুলিশ কর্মীদের সমাজমাধ্যমের প্রোফাইলেও। কেউ আবার সেই স্লোগানের ছবি দিয়ে প্রোফাইল পিকচার বদল করেছেন। তালিকায় অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর থেকে শুরু করে সাব ইন্সপেক্টর পদের পুলিশ কর্মীরাও রয়েছেন। তবে এ নিয়ে কমিশনারেটের পুলিশ কর্তারা কিছু বলতে চাননি।