সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: দিল্লি পুলিসের নামে সাইবার প্রতারণার ছক কষেছিল প্রতারকরা। অল্পের জন্য প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন পুরুলিয়ার এক সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক। মাদক মামলার উল্লেখ করে দিল্লির একটি থানায় ওই সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শককে রিপোর্ট করতে বলা হয়। একটি পার্সেল তাঁর নামে রয়েছে বলে ভিডিও কল করে ওই বিদ্যালয় পরিদর্শককে দেখে নিতে বলা হয়। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুরুলিয়ার সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, সাইবার প্রতারকরা এই ফোন করেছিল।
পুরুলিয়ার সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক সুজয় বসু বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে নাগাদ একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। সেই সময় অফিসেই ছিলাম। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, দিল্লির কাস্টম বিভাগ থেকে তারা ফোন করেছে। একটি পার্সেল স্ক্রিনিং করার সময় তাতে ১৬টি পাসপোর্ট ও ২৫টি এটিএম কার্ড রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও কিছু নিষিদ্ধ দ্রব্য রয়েছে। দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ থানায় রিপোর্ট করা না হলে এবিষয়ে কেস রেজিস্টার করা হবে। বারবার বলি, কোনও পার্সেল করিনি। কিন্তু, ওরা মানতে না চাওয়ায় লাইন কেটে দিই। তিনি বলেন, পরে একটি নম্বর থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে দিল্লি পুলিসের একটি আইডি কার্ড চলে আসে। তারপরে আমাকে ভিডিও কল করতে বলা হয়। ওই পার্সেল যে আমার নয়, তা ভিডিও কল করে জানাতে বলে। ভিডিও কলের মাধ্যমে আমার বয়ান রেকর্ড করবে বলে জানানো হয়। তাতে আমার সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। তখন আমি বলি, ৩০ মিনিট পর পুরুলিয়ার সাইবার ক্রাইম থানা থেকে ভিডিও কল করব। ওই কথা শোনার পরই সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দেয়। আইডি কার্ডের ছবিও সরিয়ে নেয়। গোটা বিষয়টি পরে সাইবার ক্রাইম থানায় জানাই। সুজয়বাবু বলেন, দিল্লি পুলিসের নাম করে হুমকি দিয়ে ওরা হয়তো প্রতারণা করতে চাইছিল। কিন্তু বেঁচে গিয়েছি। তবে, যেভাবে চেপে ধরেছিল তাতে ওরা যে প্রতারণা চক্রের অংশ, তা বোঝা সত্যিই দুষ্কর। ওই ফোন নম্বর সহ অন্যান্য তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচিতদের জানিয়েছি, যাতে অন্য কেউ প্রতারিত না হয়। পুরুলিয়া সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস জানিয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।