• তলিয়ে যাচ্ছে চা বাগান ও কৃষি জমি, যমুনা নদীতে বাঁধের দাবিতে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: যমুনা নদীতে বাঁধ নেই। এর জেরে চার থেকে পাঁচ একর জমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। নদী ভাঙন রুখতে ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে কৃষিকাজ করে আর সংসার চালানো যাবে না বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙন রোখার দাবি নিয়ে এবার জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের গড়ালবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের কোনপাকড়ি সরকার পাড়ার বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, যমুনা নদীর পাড় ভাঙন রোধের জন্য আগেও স্থানীয় পঞ্চায়েতস্তরে জানানো হয়েছিল। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে পদক্ষেপের অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

    কোনপাকড়ি সরকারপাড়ার বাসিন্দাদের বক্তব্য, প্রতিবছর বর্ষা বিদায়ের পর

     যমুনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়। এর জেরে বহু কৃষিজমি, চা বাগান এবং বাঁশবাগান নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। ভাঙনের জেরে নদী ক্রমেই বসতির দিকে এগিয়ে আসছে। এতে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। আগামীতে ঘরবাড়িও নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা। এদিন স্থানীয় বাসিন্দা সনাতন রায় বলেন, ইতিমধ্যে আমার চা বাগান এবং বাঁশবাগান মিলিয়ে তিন বিঘা জমি নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। এই ভাঙনের কারণ নদী এখন বাড়ি থেকে ৪০ হাত দূরে রয়েছে। আগামী বছর বাড়িও হয়তো নদীতে তলিয়ে যাবে। সুশীলচন্দ্র রায় নামে আর এক বাসিন্দা বলেন, ধান এবং চা বাগান মিলিয়ে ছ’বিঘা জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা। এই পরিস্থিতিতে নদী বাঁধ না দিলে শতাধিক পরিবার সমস্যায় পড়঩বে। এই ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা তথা জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রহমান আলি বলেন, নদী ভাঙন রুখতে ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় জানানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)