টিএমসি’র বুথ সভাপতিকে মারধর, তিনজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের
বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৪
সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতিকে মারধর সহ টাকা ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে চাঞ্চল্য ছড়ায় গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিস। শুক্রবার তিন যুবকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বুথ সভাপতি টোটোচালক শ্যামাপদ বিশ্বাস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অভিযুক্তরা পলাতক বলে পুলিসের দাবি। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আইএনটিটিইউসি’র পক্ষ থেকে এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ টোটো চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে খাগড়াবাড়ি-২ তৃণমূল বৃহস্পতিবার মিছিলের আয়োজন করেছিল। সন্ধ্যায় মিছিল শেষ হলে টেকাটুলি টোটো স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা অসুস্থ রোগী ও তাঁর সঙ্গে থাকা পরিজনকে টোটোতে করে বাড়ি পৌঁছে দিতে যান শ্যামাপদ। অভিযোগ, তাঁদের রেখে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় তিন যুবক তাঁর পথ আটকায়। হুমকি দেয়। অভিযুক্তরা তাঁর কাছে টাকার দাবি করে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করলে তাঁর উপর চড়াও হয়। সেসময় তিনি টোটো থেকে পড়ে যান। অভিযুক্তরা গলা টিপে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তাঁর চিৎকারে লোকজন জড়ো হতেই অভিযুক্তরা তাঁর গলা থেকে রুপোর চেন এবং পকেট থেকে বারোশো টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
শ্যামাপদ বিশ্বাস বলেন, রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। যারা মেরেছে আমি তাদের চিনতে পেরেছি। ময়নাগুড়ি থানায় ওই তিনজনের নাম দিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে। ওদের খোঁজ শুরু হয়েছে। এদিকে অভিযুক্তদের মধ্যে তাপস রায়কে টেলিফোনে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে উনি কেন অভিযোগ আনলেন বলতে পরাব না। তবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পুলিস তদন্ত করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের বাবলু রায়। বলেন, অভিযুক্তরা বিজেপি সঙ্গে যুক্ত। ওরা এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চায়। যদিও বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক চঞ্চল সরকার বলেন, ওই ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নেই। মিথ্যা কথা বলে হাওয়া গরম করতে চাইছে।