নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: মোটা টাকায় চুক্তি হয় নাইজেরিয় ফুটবলারদের সঙ্গে। পুরো টাকা মেটানোর পরই গায়ে জার্সি চাপিয়ে মাঠে নামেন তাঁরা। ক্লাব কর্তৃপক্ষকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, চ্যাম্পিয়ন ট্রফি উপহার দেবেন। কিন্তু, শুক্রবার ওই নাইজেরিয় ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি করা টিম মাঠে নামিয়ে বিপক্ষের কাছে পরপর সাতটি গোল হজম করল গ্রিন জলপাইগুড়ি। লজ্জাজনক হারের জেরে গ্যালারিতেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সমর্থকদের মধ্যে। তাঁরা মাঠে ফুটবলারদের উদ্দেশে দেদার ছুড়তে থাকেন জলের বোতল। এরপর ম্যাচ শেষে নাইজেরিয় ফুটবলাররা মাঠ থেকে বেরতেই তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রিন জলপাইগুড়ির সমর্থকরা। ফুটবলাররা যে গাড়িতে এসেছিলেন, আটকে রাখা হয় তার চালককে। এনিয়ে রাস্তার উপরেই দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকে ঝামেলা। অবশেষে কিছুটা পথ হেঁটে, তারপর টোটো ভাড়া করে গজলডোবায় হোটেলে ফেরেন ওই নাইজেরিয় ফুটবলাররা। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
জলপাইগুড়ি শহরে টাউন ক্লাবের মাঠে নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছে। এদিন প্রথম সেমি ফাইনাল ছিল বামনপাড়া যুবক সঙ্ঘ বনাম গ্রিন জলপাইগুড়ির। দু’দলেই নাইজেরিয় ফুটবলার ছিল। কিন্তু, খেলার শুরু থেকেই বামনপাড়ার ফুটবলারদের কাছে কার্যত আত্মসমর্পন করে গ্রিন জলপাইগুড়ি। প্রথমার্ধেই চার গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিনটি গোল হজম করতে হয়। ফলে ৭-০ গোলে জিতে ফাইনালে ওঠে বামনপাড়া যুবক সঙ্ঘ। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন বামনপাড়ার স্টিফেন। তিনি খেলার ৩০ মিনিট ও ৫৮ মিনিটে দু’টি গোল করেন। এছাড়াও জয়ী টিমের হয়ে দু’টি গোল করেছেন জুনিয়র। বাকি তিনটি গোল করেন করণ রাই, পীযূষ ঠাকুরি ও মিসিউক। গ্রিন জলপাইগুড়ির সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, যিনি আমাদের নাইজেরিয় ফুটবলার এনে দেওয়ার জন্য চুক্তি করেছিলেন, তিনি বেইমানি করেছেন। টিম চ্যাম্পিয়ন হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু, জঘন্য টিম পাঠানোয় সেমি ফাইনালে লজ্জাজনক হার হয়েছে আমাদের। নাইজেরিয় ফুটবলাররা নগদ ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। এছাড়া কলকাতা থেকে আসা-যাওয়ার গাড়ি ভাড়া, হোটেল, খাওয়াদাওয়া মিলিয়ে আমাদের ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এরপরও সাত গোলে হারতে হওয়ায় সমর্থকরা নাইজেরিয় ফুটবলারদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। (নাইজিরিয় ফুটবলারদের ঘিরে সমর্থকদের বিক্ষোভ। জলপাইগুড়ি টাউন ক্লাবে তোলা চিত্র।)