নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী সাগরদিঘির চারপাশকে এবার বোলার্ড দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। সাগরদিঘির সৌন্দর্যায়নের কাজে দিঘির চারপাশে কোবাল্ট স্টোন দিয়ে ফুটপাত তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই ফুটপাতের উপরে অনেক সময়ই গাড়ি উঠে আসে। ফলে পথচারীরা হাঁটতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। সেই কারণেই পুরো দিঘির চারপাশে বসানো হচ্ছে বোলার্ড। মোট ৬২৫টি বোলার্ড তৈরি হচ্ছে। হলদিয়া থেকে এই বোলার্ডগুলি নিয়ে আসা হয়েছে। ফাইবার রেইনফোর্স পলিমারের তৈরি এই বোলার্ডগুলি দেখতেও বেশ সুন্দর।
এদিকে, সাগরদিঘির চারপাশে চারটি ক্যান্ট্রিলিভার ঘাটের কাজ শেষ হয়েছে। শীঘ্রই কোর্টের দিকে স্টেজ ঘাট নির্মাণের কাজও শুরু হবে। পাশাপাশি, শহরের অপর দুই ঐতিহ্যবাহী লম্বাদিঘি ও রাজমাতা দিঘির কাজও খুব শীঘ্রই শুরু হবে।
মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুমন সরকার বলেন, সাগরদিঘির চারপাশে বোলার্ড বসানো হচ্ছে। আশা করছি পুজোর আগেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এটি শেষ হলে কোবাল্ট স্টোন দিয়ে তৈরি ফুটপাত দিয়ে পথচারীরা নিশ্চিন্তে হাঁটতে পারবেন। সেখানে আর গাড়ি উঠবে না। স্টেজ ঘাট নির্মাণের কাজও চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। লম্বাদিঘি ও রাজমাতা দিঘির জন্য আমরা সেপ্টেম্বরের শুরুতেই ওয়ার্কঅর্ডার দিয়ে দেব। সাগরদিঘি কোচবিহার শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। কোচবিহারকে হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই কাজের অঙ্গ হিসেবে সাগরদিঘির সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করা হয়েছিল। দিঘির চারপাশে রেলিং, ঘাট নির্মাণ সহ একাধিক কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এবার চারপাশ ঘিরে লাগানো হচ্ছে বোলার্ড। এতে সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি সাগরদিঘির চারপাশ দিয়ে হাঁটতেও সুবিধা হবে।
মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈরাগীদিঘির সৌন্দর্যায়নের কাজ প্রায় শেষ। খুব শীঘ্রই এটি জেলাশাসককে হস্তান্তর করা হবে। সাগরদিঘির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম পালন করা হবে। এদিকে, লম্বা দিঘি ও রাজমাতা দিঘির সৌন্দর্যায়নের জন্য দুই কোটি টাকা খরচ করা হবে।