• স্কুলে পড়ুয়া আনতে শিক্ষকদের সঙ্গে এসআইদেরও বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি কম। এমন বহু স্কুল রয়েছে যেখানে প্রায়দিন অর্ধেক পড়ুয়াই অনুপস্থিত। অনেকে আবার টানা গরহাজির থাকছে। কেন একাংশ পড়ুয়া স্কুলে আসছে না, কারণ খুঁজতে পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষাবন্ধুদের পাশাপাশি এবার সার্কেল ইন্সপেক্টরদেরও বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দিলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শমা পারভীন। একইসঙ্গে মিড ডে মিলের মান ঠিক আছে কি না, পড়ুয়ারা ঠিকমতো মিড ডে মিল পাচ্ছে কি না, সেসব দেখার জন্য এডুকেশন সুপারভাইজাদের দিনে অন্তত দু’টি করে স্কুল পরিদর্শন করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কোনও স্কুলে যাতে মিড ডে মিল ব্যাহত না হয় সেজন্য জেলাশাসকের নির্দেশ, চাল ফুরনোর অন্তত ১৫ দিন আগে জানাতে হবে স্কুলকে। কোনও অজুহাত শোনা হবে না। 


    শুক্রবার শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন ডিএম। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, প্রতিটি স্কুলে যাতে নিয়মিত অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক হয়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এনিয়ে টার্গেটও বেঁধে দিয়েছেন। মাসে প্রতিটি সার্কেলে অন্তত ১০টি স্কুলে অভিভাবক-শিক্ষক মিটিং করতে হবে। মিটিংয়ে বাধ্যতামূলকভাবে থাকবেন সার্কেল ইন্সপেক্টররা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপ রয়েছে। কিন্তু, বহু স্কুলে এই কাজ বকেয়া। কেন স্কলারশিপের কাজ এগচ্ছে না, প্রশ্ন তুলে জেলা শিক্ষাকর্তাদের কাছে রীতিমতো কৈফিয়ত তলব করেন ডিএম। একইসঙ্গে খোদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে বিষয়টি দেখতে বলেন। 


    জলপাইগুড়ি জেলার অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিএম বলেন, এনিয়ে প্রতিটি স্কুলকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। পড়ুয়ারা যদি ঠিকমতো স্কুলে না আসে, তা হলে পরীক্ষার ফল ভালো হবে কি করে? বৈঠক শেষে জেলাশাসক শমা পারভীন বলেন, স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি, মিড ডে মিল, স্কুল পরিদর্শন এবং বিভিন্ন স্কলারশিপ নিয়ে শিক্ষাকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


    জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) শ্যামলচন্দ্র রায় বলেন, জেলায় ১২০৯টি প্রাথমিক স্কুল। এরমধ্যে অনেক স্কুলে দেখা যাচ্ছে, পড়ুয়াদের উপস্থিতি ৪০-৫০ শতাংশ। জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছেন, মাসে ১৫ দিন গরহাজির থাকছে, এমন পড়ুয়াদের চিহ্নিত করতে হবে। যেসব ছাত্রছাত্রী স্কুলে আসছে না, তাদের বাড়ি যেতে বলা হয়েছে পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষাবন্ধুদের পাশাপাশি সার্কেল ইন্সপেক্টরদের। যেসব সার্কেলে এডুকেশন সুপারভাইজার নেই, অন্য সার্কেল থেকে তুলে এনে সেখানে দায়িত্ব দিতে বলেছেন ডিএম। 


    জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বালিকা গোলে বলেন, অনেক স্কুলে স্কলারশিপের কাজ বকেয়া। জেলাশাসক বিষয়টি দেখতে বলেছেন। অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স ভালো করতে স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি বাড়ানোর দিকে জোর দিতে বলা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)