‘জরুরি পরিষেবা দিচ্ছি’ প্রমাণ করতে ভিডিও রেকর্ড জুনিয়র চিকিৎসকদের
বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চলা কর্ম বিরতিতে নষ্ট হয়েছে ভাবমূর্তি। দিনের পর দিন ঠিকমতো চিকিৎসা না পেয়ে ক্ষুব্ধ রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। এবার ‘দুর্নাম’ ঘোচাতে ফলাও করে চিকিৎসার ভিডিও পোস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিভিন্ন মাধ্যমে চিকিৎসক বিরোধী প্রচারের পাল্টা দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন ডাক্তাররা। শুক্রবার আর জি করে দেখা গেল, একদল জুনিয়র চিকিত্সক একটি শিশুর মাথায় সেলাই করার জন্য জরুরি বিভাগে ছুটলেন। তারপর পরিষেবা পাওয়া শিশুর বাবার বক্তব্য ভিডিও রেকর্ড করলেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হবে। এখন প্রশ্ন, যাঁরা চিকিৎসা না পেয়ে ঘুরে গেলেন, তাঁদের খোঁজ কি নিয়েছেন চিকিৎসকরা?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জুনিয়র চিকিত্সকরা বলছিলেন, ‘অনেকেই বলছেন, হাসপাতাল বন্ধ। আমরা মানুষের কাছে বার্তা দিতে চাই, হাসপাতাল সম্পূর্ণ চালু রয়েছে।’ তাঁদের বক্তব্য, ‘আমরা তো অবস্থান মঞ্চ থেকে উঠে এসে জরুরি ভিত্তিতে শিশুর মাথায় সেলাই করে দিলাম। গুজব যাতে না ছড়ায়, সেই বার্তা দিতে চাই।’ এদিন আর জি করের জরুরি বিভাগে ৪৯ জন রোগী এসেছিলেন। ৪৯ জনকে ভর্তিও নেওয়া হয়েছে। জরুরি বিভাগে রোগী এলে তাঁরা পরিষেবাও পেয়েছেন বলে খবর।
ভাবমূর্তি ফেরানোর জন্য প্রথম দিকে হাসপাতালের বাইরে ‘গুজবে কান দেবেন না’ লিখে ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছিল। তারপর একাধিকবার অবস্থান মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, সমস্ত পরিষেবা খোলা রয়েছে বলে। এবার নতুন ধরনের উদ্যোগ দেখা গেল। যা দেখে অনেকেই বলছেন, বিলম্বে বোধোদয়। প্রায় তিন সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্ম বিরতি। চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ।
ভাবমূর্তি ফেরানোর প্রশ্নে বদ্ধপরিকর এসএসকেএম হাসপাতালও। মেইন বিল্ডিংয়ের পাশেই এই কলেজের পড়ুয়াদের অবস্থান মঞ্চ। সেখান থেকে জুনিয়র চিকিত্সকরা সারাক্ষণই ঘোষণা করছেন, সিনিয়ররা পরিষেবায় রয়েছেন। এদিন উডবার্ন ব্লকের পাশে এসএসকেএমের পড়ুয়া-কর্মীরা আর জি করের মৃত পড়ুয়ার স্মৃতির উদ্দেশে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন। এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শাশ্বত জানা বললেন, ‘আমরা আমাদের যে বোনকে হারিয়েছি, তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে এই উদ্যোগ নিয়েছি। এসএসকেএম, এনআরএস ও সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তদান হয়েছে। আমরা আন্দোলনের পাশাপাশি রোগীদের পাশেও রয়েছি। ২০০র বেশি মানুষ রক্তদান করেছেন।’ তাতে সুরাহা হবে কি? ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, পরিষেবা স্বাভাবিক হোক। তাহলে আলাদা করে ভিডিও তুলে প্রতার করতে হবে না।