নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শুক্রবার প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক কমল চক্রবর্তী। এবছরই তিনি আশি বছরে পদার্পণ করেন। ১৯৪৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালীন বিহারের জামসেদপুরে তাঁর জন্ম। তিনি একাধারে ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, বিশিষ্ট গদ্যশিল্পী, পত্রিকা সম্পাদক, সংগঠক, মানবদরদি ও প্রকৃতিপ্রেমিক। সাহিত্যসাধনার পাশাপাশি কমল চক্রবর্তী সক্রিয় ছিলেন সবুজের অভিযান নিয়ে। পুরুলিয়ার ঊষর মাটিতে ৩০ লক্ষাধিক বৃক্ষরোপণের এক অসামান্য কৃতিত্ব স্থাপন করেন তিনি। এজন্য তাঁকে ‘বৃক্ষনাথ’ আখ্যা দেওয়া হয়। তিনি ছিলেন মানুষ গড়ারও কারিগর। পুরুলিয়ার বান্দোয়ান এলাকায় অবহেলিত সমাজের ছেলেমেয়েদের জন্য তিনি পরিচালনা করেছেন ‘ভালো পাহাড় স্কুল’।
তাঁর প্রতিষ্ঠিত-সম্পাদিত ‘কৌরব’ পত্রিকা বাংলা ভাষায় উন্নত সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। রাজ্য সরকার তাঁকে বঙ্কিম পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়া আরও একাধিক পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতে। শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, উৎপলকুমার বসু, বুদ্ধদেব গুহ, সমরেশ মজুমদার-সহ বহু বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকের সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। এ-যুগের অনেক কবি, সাহিত্যিকের প্রেরণা কমল চক্রবর্তী। সেই হিসেবে বাংলার সাহিত্যজগৎ একইসঙ্গে বন্ধু ও অভিভাবক হারাল।
‘ভালো পাহাড়’-এর তরফে জয়তী চক্রবর্তী জানান, ২১ আগস্ট কমলবাবু বাথরুমে পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পান। জামসেদপুরে টাটা মেইন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানেই তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ, শুক্রবার ভালো পাহাড়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।